বরিশালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় নুসরাত জাহান নাজনীন (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশিষ কুমার সাহা।
ডাক্তার জানান, দুপুর ১২টায় নাজনীনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বরিশাল সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নাজনীন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সুরতহাল রিপোর্টের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নাজনীন বরগুনার আমতলীর ৪ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাওঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মৃত বশির মৃধার মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বরিশালের বাংলা বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বড় বোন রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের নার্স নাসরিনের সাথে তিনি থাকতেন। বরিশাল বোর্ডের ২৩/২৪ শিক্ষাবর্ষের বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফলাফল ঘোষণার পর গণিতের এমসিকিউতে ফেল করায় অভিমানে নুসরাত জাহান নাজনীন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বরিশাল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাজনীন ফলাফল মোটামুটি ভালো করেছে, শুধু গণিতের একটি বিষয়েই ফেল হয়েছে। তিনি রেজাল্ট পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারতেন। এমন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ ঘটনায় নাজনীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, এবং সহপাঠীরা এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না।