আজকের তারিখঃ | বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরিশালে তালাশ বিডি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন বরিশাল কর অফিসের রতন মোল্লার হাতে আলাদিনের চেরাগ,একই কর্মস্থলে ১০ বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২৩৭ আসনে বিএনপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা নুর, সাকি, মান্নাসহ মিত্রদের জন্য ৬৩ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি তিন আসনে লড়বেন বেগম খালেদা জিয়া ১ হাজার ৮৯ ইবতেদায়ি মাদরাসা অনুমোদন পেয়েছে এমপিওভুক্তির জামায়াত মানুষের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না : নুরুল কবির বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন গণপূর্তের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সমবায় বিভাগের সংস্কার জরুরি,ফরিদপুরে সমবায় বিভাগের হয়রানি আর কূটকৌশল ভোটে কোটি টাকা খরচকারীদের চক্র ভাংতে হবে - ঝালকাঠিতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে-হাসনাত আবদুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ঝুকিপূর্ণ,আটকে আছে ১৭শ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন কাজ বরিশালে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় অটোচালক নিহত বরিশালে বিএনপি'র লিফলেট বিতরণ অপসোনিন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ বাকেরগঞ্জের রাঙামাটি নদী থেকে হাত-পা বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বরিশাল শাখার উদ্বোধন বরিশালে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির ৯ নেতাকর্মী জেলহাজতে

মানসিক সুস্থতা: বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার শর্ত

রিপোর্টারের নাম: বরিশাল খবর
  • সংবাদ প্রকাশের তারিখ : Oct 12, 2025 ইং
  • ৭৮১ বার
ছবির ক্যাপশন:

ফাহিম হাসনাত :

মানসিক স্বাস্থ্য, এই ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষই উদাসীন। শরীরের কোনো রোগ হলে দৌড়ে যান চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু মনের রোগ? মনের রোগের খবর কজন রাখি আমরা। মন খারাপকেই পাত্তা দেই না সেখানে বিষণ্নতা বা মানসিক রোগ তো অনেক দূরের বিষয়।

১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এটি সেই দিন, যখন আমরা বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনে মানসিক অসুস্থতার প্রভাব নিয়ে কথা বলি। এই দিনটি কোটি কোটি মানুষকে মানসিক অসুস্থতার প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতন ও সতর্ক করার একটি সুযোগ।

গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি দু’জনের মধ্যে অন্তত একজন জীবনে কোনো না কোনো সময় মানসিক অসুস্থতার শিকার হন। বর্তমানে ৯০ কোটিরও বেশি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে লড়ছেন, যা আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। যদিও কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এই বিষয়ে আলোচনা বেড়েছে, কিন্তু সমাজে গেঁথে থাকা কলঙ্কের ভয়ে অনেকেই আজও নিজেদের অভিজ্ঞতা খোলাখুলি বলতে পারেন না।
কেন এই দিনটি এত জরুরি? বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস প্রথম শুরু হয় ১৯৯২ সালে। এর মূল লক্ষ্য ছিল তিনটি- ১. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো কতটা সাধারণ, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো। ২. এর সঙ্গে যুক্ত কলঙ্ক দূর করার জন্য লড়াই। ৩. মানসিক সমস্যায় থাকা মানুষদের জন্য উন্নত চিকিৎসা ও পরিচর্যার দাবি জানানো।

বর্তমানে অনেক দেশেই এটি শুধু একদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ১০ অক্টোবরকে ঘিরে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহ’ পালিত হয়। প্রতি বছর এই দিবসের একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে, যেমন: ২০২৫ সালে থিম হলো, ‘বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য’।

এই প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য হলো সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাস্তুচ্যুতির মতো সংকটকালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এটি বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং জরুরি অবস্থায় মানুষের মানসিক সুস্থতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি, সহানুভূতি গঠন এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে মানবিক সহায়তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিজের যত্ন নিন, সবসময় ফুরফুরে থাকুন। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া কিন্তু আমাদের নিজেদেরই দায়িত্ব। আসুন কীভাবে-

    ১. শরীরচর্চায় মনকে সুস্থ রাখুন

আমরা সবাই জানি ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু এটি যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয়-তা কি আমরা জানি? নিয়মিত শরীরচর্চা উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়া প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটালে মানুষের মানসিক চাপ কমে যায় এবং তারা শান্ত বোধ করে। তাই পার্কে বা খোলা জায়গায় হেঁটে আসুন, শরীরচর্চাটাও হয়ে যাবে।

    ২. সঠিক ডায়েট

আপনার খাবারদাবার আপনার মেজাজ বদলে দিতে পারে। চিপস, কেক বা চকলেট জাতীয় খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে এবং কমে, যার ফলে আপনি সহজেই ক্লান্ত বা খিটখিটে হয়ে যেতে পারেন। তাই নিশ্চিত করুন, আপনার খাদ্যতালিকায় যেন পর্যাপ্ত ফল ও সবজি থাকে। এর ফলে মন ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো আপনি পাবেন। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করাটা ভীষণ জরুরি; তৃষ্ণার্ত থাকলে মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

    ৩. অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন, একা থাকবেন না

একটু একা থাকার সময় আমাদের সবারই দরকার। নিজের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। তবে অন্যদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক সুস্থতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একাকীবোধ করেন, তবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। এতে নতুন মানুষের সঙ্গে মেশা হবে এবং অন্যকে সাহায্য করার দারুণ অনুভূতিও পাবেন। একটি জরিপে দেখা গেছে, যারা দুই বছরের বেশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের ৪৮ শতাংশই হতাশা কমে যাওয়ার কথা বলেছেন।

আপনার যদি ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবার থাকে, তবে আপনার মনের কথা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন এবং তাদের কাছে সাপোর্ট চান। মনে রাখবেন, মানসিক অসুস্থতা নিয়ে যখনই কেউ কথা বলে, তখনই সমাজের কলঙ্ক কমতে শুরু করে।


কমেন্ট বক্স

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী

বরিশাল খবর অফিস: সিএন্ডবি রোড, বরিশাল

ইমেইল: nomanibsl@gmail.com

মোবাইল: 01713799669 / 01712596354

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি

© বরিশাল খবর সর্বস্ব সংরক্ষিত

Developed by : BDIX ROOT