কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে এইভাবে দেখা করতে হচ্ছে,
আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই যোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সনদের
পঞ্চম দফার অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন তৈরি করা হচ্ছে। যা চূড়ান্ত সনদে
থাকবে। যেখানে স্বীকৃতি, মর্যাদা এবং সুরক্ষা থাকবে।’
এসব বিষয়ে
কমিশন এবং দলগুলোর পার্থক্য নেই বলেও জানান তিনি। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর)
দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে এসে
জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশে এই কথা জানান তিনি।
কমিশনের সহ-সভাপতি
বলেন, ‘কমিশন ৩১ অক্টোবরে পর্যন্ত বহাল রয়েছে। আজকের দিনই শেষ কথা নয়।
সরকারের ব্যবস্থার দিকে নজর রাখবো।’ বিকেলে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে
উল্লেখ করে আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ।
এদিকে কমিশনের সহ-সভাপতির আহ্বানে রাজি নন জুলাই যোদ্ধারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকার বাইরে নিয়ে যান।
এর
আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জাতীয় সংসদ ভবনের
দক্ষিণ প্লাজায়। রাত থেকে অবস্থান করা বিক্ষুদ্ধ জুলাই যোদ্ধারা প্রবেশ
করার চেষ্টা করেন সংসদ ভবনে। অনেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে গ্রিলের ওপর
দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে মূল ফটক উন্মুক্ত করে দেন দায়িত্বরত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পাঁচ শতাধিক বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী
মূল মঞ্চ এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে বসে পড়েন। বিক্ষুব্ধদের
অভিযোগ, সনদ প্রণয়নে তাদের পরামর্শ নেয়নি সরকার। একইসঙ্গে স্বীকৃতি না দিয়ে
করা হয়েছে অবমূল্যায়ন। ঘোষণাপত্রের মতো এখানেও আইনি ভিত্তি না থাকার
অভিযোগ তাদের। ১০ সদস্যের প্রতিনিধিকে মঞ্চে জায়গা দেয়ার দাবি জানান
আন্দোলনকারীরা।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জুলাই সনদ
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের। উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সব দলের থাকা নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে
অনিশ্চয়তা।