বাংলাদেশের থিয়েটারের অনিবার্য মুখ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হৃদি হক। এই খ্যাতনামা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার ২০০৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে অর্জন করেছেন সমালোচকদের প্রশংসা ও আর্থিক সাফল্য দুইই। তার চলচ্চিত্র অর্জন করেছে একাধিক পুরস্কার। সম্প্রতি কানাডার টরন্টো মল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের শেষদিনের আকর্ষণ ছিল হৃদি হকের চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেই সব দিন’। হৃদি হক বলেন, টরন্টো মল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও দর্শকের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমার নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রতি হল ভর্তি দর্শকের আগ্রহ এবং শেষ হওয়ার পর আবেগ ছিল অতুলনীয়। আনন্দের ব্যাপার হলো, ফেস্টিভ্যালের অরগানাইজার আমাকে মেইল করে জানালেন, প্রচুর দর্শক তাদের জানাচ্ছেন, তারা আবারও চলচ্চিত্রটা দেখতে চায়, হলের ধারণ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে যারা মিস করেছে তারাও আবার প্রদর্শনীর বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছেন।
নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবছেন কি ? এমন প্রশ্নে হৃদি হক বলেন, বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা এবং প্রযোজক ভীষণ আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমি মিটিং শুরু করেছি তাদের সঙ্গে আর অন্যদিকে চলছে আমার স্ক্রিপ্ট কাটা ছেড়ার কাজ। এ চলচ্চিত্রটির গল্পের প্রয়োজনে যেহেতু দেশে এবং দেশের বাইরে শূটিং করতে হবে, তাই লোকেশন রেকিও চলছে। মঞ্চে নাটকের নির্দেশনা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পূর্ব ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের চর্চা এগিয়ে চলেছে কেবলমাত্র গ্রুপথিয়েটার কনসেপ্টকে ধারণ করে। কিন্তু আমি মনেকরি এখন সময় এসেছে থিয়েটার নিয়ে নতুন করে ভাববার। কেবল শখের কমিটমেন্টের বা অর্থনৈতিকতা বর্জিত থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এসে থিয়েটারকে একটি অর্থনৈতিক প্রফেশনাল কমিটমেন্টের থিয়েটারে পরিণত করতে হবে। আর তা করতে গেলে শৈল্পিক উৎকর্ষে অর্থনৈতিক ইনভেস্টেমেন্ট প্রয়োজন যা আমাদের থিয়েটারকে উচ্চ থেকে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাবে।