মিলন কান্তি দাস :
আমার আস্থা ও নির্ভরতার মানুষ ঝালকাঠি-২ আপসের সাংসদ জুলফিকার আলী ভুট্টো ভাইয়ের সাথে আমার নিজের একটা স্মৃতি আপনাদের শেয়ার করবো। কোন এক রমজান মাসের একদম শেষ দিকে (১৯৯১-১৯৯৬) ভুট্টো ভাই তখন কিছুটা আর্থিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন। একদিন ভুট্টো ভাই আর আমি উত্তরা জসিমউদ্দিন রোডের বাসা থেকে বেবিট্যাক্সি (সিএনজি) নিয়ে কাওরান বাজার আসলাম। সেখানে এসে নলছিটি,ঝালকাঠির অনেক লোকজন ভুট্টো ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। ভুট্টো ভাইয়ের সাথে একটা ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে আমরা সবাই বসিয়ে গ্লাস দিয়ে ঘেরা ম্যানেজারের রুমে ঢুকলেন। আমরা বাহির থেকে দেখলে ম্যানেজার সাহেব খুব আন্তরিকতার সাথে ভুট্টো ভাইকে বসালেন। কি কথা হচ্ছিল আমারা বুঝতে পারছিলাম না। ঘন্টা পর পরে রুম থেকে বের হয়ে কাউকে ৫শ কাউকে হাজার টাকা দিয়ে বিদায় দিলেন। এরপর বললেন একটা বেবি ঠিক কর সাইন্সল্যাব যাবো পাঞ্জাবি কিনতে হবে। বেবি করে সাইন্সল্যাব পৌছে পাঞ্জাবি কিনতে শুরু করলেন। সব দোকানেই সব টাকা বের করে বিল দিলেন। এক দোকানে ঢুকে বললেন তুই একটা পাঞ্জাবি পছন্দ কর। আমি বললাম কার জন্য? বলল তোর দরকার আছে কার জন্য, তোকে বলছি একটা পছন্দ কর। আমি একটা পাঞ্জাবি পছন্দ করে কিনলাম। ভুট্টো ভাই বললো এটাতে চিহ্ন দিয়ে রাখ। এরপর আরো কটা কিনলেন। হঠাৎ দেখি পাশ পকেট,পেছন পকেট হাতরে বেড়াচ্ছেন। জানতে চাইলাম কি হয়েছে? ভুট্টো ভাইয়ের বড়ো বড়ো লাল চোখ দুটো ফেটে মন…