শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে একদফার আন্দোলন, অন্যদিকে একের পর এক মামলায় আইনি লড়াই—দুইয়ে মিলে রাজপথ আর আদালতেই কাটছে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিনের বেশিরভাগ সময়। সারা দেশে দেড় লাখ মামলায় আসামি প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মী। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, কেউ ৫০, কেউ বা শতাধিক মামলার আসামি। সর্বোচ্চ ৪০০ পর্যন্ত মামলায় নাম রয়েছে কারও কারও। এসব মামলায় হাজিরা দিতে দিতে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, মামলা থেকে বাঁচার আশায় অনেক সাধারণ কর্মী সরকার পতন আন্দোলনে সোচ্চার হচ্ছেন।

দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলায় সরকার পুরোনো মামলা সচলের পাশাপাশি নতুন মামলার কৌশল অবলম্বন করছে, যা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে। অনেক মামলায় মৃত, প্রবাসী, অসুস্থ আর বয়োবৃদ্ধদেরও আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় নেতাদের বেছে বেছে টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে বেশি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আবার পুরোনো মামলাগুলোও সক্রিয় করা হয়েছে। অনেক মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে আনা হয়েছে। সরকারের এ পরিকল্পনা ঠিক থাকলে এক-দুই মাসের মধ্যে বেশ কিছু মামলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের মতে, বিএনপির নেতাকর্মীদের মাসের সব কর্মদিবসের প্রতিদিনই আদালতে আসতে হচ্ছে। কারও কারও প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি মামলার শুনানি থাকায় সকাল-সন্ধ্যা আদালতেই কাটাতে হচ্ছে।

ঢাকার জজকোর্টে বেশ কয়েকদিন সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন নেতা আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন।

বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৩৩টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামি ৪৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ জন। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৫৩৯ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়েছে। আর তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচির আগে ও পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেড়েছে মামলা, গ্রেপ্তার। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতাও। তাই প্রতিদিনই নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডকে নতুন হিসাব করতে হচ্ছে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে দলের নেতাকর্মীদের। নতুন-পুরোনো মামলায় প্রায়ই গ্রেপ্তারের খবর আসছে। ফলে জামিন নিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছুটতে হচ্ছে আদালতের বারান্দায়। অনেকেই গ্রেপ্তার ও হয়রানি আতঙ্কে ঘরছাড়া।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দিও রাখা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনের আগে কীভাবে পুরোনো মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো যায়, সরকার সেই অপকৌশল নিয়েছে। বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও অন্যান্য বাহিনী একইভাবে কাজ করছে। প্রতিদিনই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এটি আওয়ামী লীগের পুরোনো খেলা।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘিরে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩৩৩টি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৫০ জনকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৮২০ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৩০ জন।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল  বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এত জঘন্য ও নির্মম অসত্য মামলা অতীতের কোনো সরকারের আমলেই দেওয়া হয়নি। পুলিশ বিভাগ এবং অধস্তন আদালতকে দিয়ে সরকার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এ ধরনের বিচারিক হয়রানির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও যেনতেনভাবে নির্বাচন করে নেওয়া। নিউইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকা নিবন্ধ প্রকাশ করছে যে, বাংলাদেশের আদালত বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের জন্য ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।’

কোন নেতার বিরুদ্ধে কত মামলা

বিএনপি সূত্র জানায়, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে মামলার সংখ্যা ৯৩টি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা সংখ্যা সাত। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের নামে আছে চারটি মামলা। গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪৮টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ৩৬টি, ড. আব্দুল মঈন খানের বিরুদ্ধে একটি, নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ছয়টি, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছয়টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ছয়টি, বেগম সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধে চারটি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে।

তবে সবচেয়ে বেশি মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে। তার নামে এ পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ৪৫১টি। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ৩১৩টি এবং সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের নামে ৩০৫টি মামলা রয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকারের বিরুদ্ধে ৩২৭টি মামলা আছে। আরেক যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে মামলা আছে ২৫৪টি। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বরকত উল্লাহ বুলুর নামে ২০৪টি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে প্রায় ২০০টি, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির বিরুদ্ধে ১৮৪টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের বিরুদ্ধে ১৪৭টি, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১১৯টি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১০৬টি, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নামে ১০৩টি এবং বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে ১০০-এর বেশি মামলা আছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ৫০টি, উপদেষ্টাদের মধ্যে এ জে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ৬টি, আবুল খায়ের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি, জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৫টি, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বিরুদ্ধে ২৯টি, ইসমাইল জবিউল্লাহর বিরুদ্ধে ৫টি, হাবিবুর রহমান হাবিবের নামে ২৫টি, আতাউর রহমান ঢালীর বিরুদ্ধে ৭টি, জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়ার নামে ৫টি, ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ৬টি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ৬টি, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৯টি, মো. শাহাজাহানের বিরুদ্ধে ২৯টি, মীর নাছিরের নামে ১২টি, শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে ১৫টি, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১৪টি, শামসুজ্জামান দুদুর নামে ১৪টি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে ৬৯টি, আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে ১৫টি, মীর সরফত আলী সপুর বিরুদ্ধে ৫০টি, শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে ৭টি, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নামে ৩৮টি, সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের বিরুদ্ধে মামলা ৪৮টি রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতার নামে মামলার সংখ্যা সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি পার হলেও এখনো নতুন নতুন মামলা যোগ হচ্ছে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি জানান, তাকে প্রতি মাসে লক্ষ্মীপুরে গিয়ে এই সরকারের ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে।

সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, কোনো অপরাধ না করলেও তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন, তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও কমপক্ষে ১০-২০টি পর্যন্ত মামলা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে মামলা ১৪টি, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলের বিরুদ্ধে মামলা ৩টি। এরকম অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। তবে মামলায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ঢাকা মহানগর।

দ্রুত এগোচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া: বর্তমানে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার থেকে শুরু করে ২০১৩-১৫ সালে দায়ের করা অনেক মামলার কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। কিছু মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া একেবারেই শেষ প্রান্তে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছর এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। আত্মসমর্পণের পর কারাগারে গেছেন আমানউল্লাহ আমান।

২০১৩ সালের একটি মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১৭ জনের দুই বছরের সাজার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদসহ অনেকের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।

সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর পুরোনো দুটি নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার আদালত। মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলাটি ১১ বছর আগের; ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার। অন্যটি আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতপাড়ায় দৌড়ঝাঁপের পর জামিন পেলেও বিএনপির অনেক নেতার মুক্তি মিলছে না। একের পর এক পুরোনো মামলায় আটক করা হচ্ছে। উচ্চ আদালত থেকে ‘নো অ্যারেস্ট, নো হ্যারেজ’ নির্দেশনা থাকার পরও প্রতিকার মিলছে না বেশিরভাগ নেতার। পুরোনো মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির তালিকায় জেলগেট থেকে আটক করা হচ্ছে কিংবা জামিন পাওয়ার পরই নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে একের পর এক পুরোনো মামলায় আটক দেখিয়ে চরম হয়রানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভির আহমেদ রবিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সাবেক সহসভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বিরসহ অনেকেই রয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপি নেতাকর্মীর নামে গায়েবি মামলার হিড়িক পড়েছে। বিনা পরোয়ানায় শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের নব্য হাতিয়ার। এটা তাদের পুরোনো খেলা। তবে এভাবে আর পার পাওয়া যাবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। তারা দেশ-বিদেশে সর্বত্র প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।’




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া