অবিশ্বাস্য হলেও সত্য মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর যত টাকার ইয়াবা পাচার হয়ে আসে তা দেশটির ৩ বছরের সামরিক বাজেটের সমান!
বর্তমান মিয়ানমারের সামরিক সরকার ইয়াবা কারবারিদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। নাফ নদী ছাড়াও দুর্গম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে।
শুধু বাংলাদেশে পাচারের জন্যই মিয়ানমারের ভেতরে সরকারি সহযোগিতায় মিয়ানমার সীমান্তে ৫৩ টি ইয়াবা কারখানা আছে। যারা ১৩ ধরনের ইয়াবা তৈরী করে। এর মধ্যে-
১) কেচিন ডিফেন্স আর্মির রয়েছে ১০টি কারখানা,
২) পানশে ক্যাও ম্যাও অং মৌলিন গ্রুপের রয়েছে ২টি কারখানা,
৩) স্পেশাল পুলিশ এক্স হলি ট্র্যাক্ট গ্রুপের রয়েছে ১টি কারখানা,
৪) ম্যাংপাং মিলিশিয়ার রয়েছে ১টি কারখানা,
৫) মংঙ্গা মিলিশিয়া শান স্টেট আর্মির (নর্থ) রয়েছে ১টি কারখানা,
৬) ইয়ানজু গ্রুপের রয়েছে ১টি কারখানা,
৭) ন্যাশনালিটিজ লিবারেশন অ্যান্ড কাই-সান চুউ শাং গ্রুপের রয়েছে ৪টি কারখানা,
৮) ইউনাইটেড ওয়া এস্টেট আর্মি ও লাহু মিলিশিয়ার রয়েছে ১৩টি কারখানা,
৯) ন্যাশনালিটিজ পিপল আর্মির রয়েছে ২টি কারখানা
১০) মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির রয়েছে ১টি কারখানা।
তবে পুরো বিষয়টির সাথে মায়ানমারের ফেডারেল পার্লামেন্ট ও শান স্টেট লেজিসলেচার (সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) ও বিচ্ছিন্নতাবাদী দলসমুহ ও নাসাকা বাহিনী সরাসরি জড়িত।
বাংলাদেশে বর্তমানে ইয়াবাসেবীর সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। এই হিসেবে দৈনিক ইয়াবার পেছনে খরচ হচ্ছে ১৩৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাৎসরিক খরচ করে ৪৯ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বাজেট সম্পর্ক দ্য ডিপ্লোম্যাট পত্রিকা বলছে, ২০১৭-১৮ বছরে মিয়ানমারের সামরিক বাজেটের পরিমাণ ২.১ বিলিয়ন ডলার বা ১৭ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা।
এই হিসেবে মিয়ানমার থেকে শুধু এক বছর ইয়াবা আসতে না দিলে, তাদের সেনাবাহিনীর ৩ বছরের বাজেট শূণ্য হয়ে যাবে।