রাজু আহমেদ :
তাকসিম এ খানরা যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে তাতে গোটা বিশ্বের মালিক একদিন বাংলাদেশিরাই হবে। এক তাকসিম সাহেবই যদি আমেরিকার মত জায়গায় ১৪ টি বাড়ি কিনতে পারেন তবে দেশের বিশ কোটি মানুষের মধ্য থেকে মাত্র ৫ কোটি মানুষ উদ্যোগ নিলে সন্ধ্যার আগেই আফ্রিকা, এ মাসের মধ্যে ইউরোপ, মধ্য জুনে গোটা আমেরিকা কিনে ফেলা সম্ভব! আর নভেম্বরের দিকে এশিয়ার বাকি অংশ জবর দখল করবো! বরফের আর্কটিকে আপাতত আগ্রহ নাই! বাঙলীরা অতো ঠান্ডা সইতে পারবে না! মাত্র দু’তিন দিনের ☀ হীন মৃদু শৈত্যপ্রবাহেই দাঁত খিটিমিটি টাইপের কাপুনি উঠেছে! ওয়াসার অনেক জল বেচেছে কেবল না-গোসলের অযুহাতে!
আশার কথা আপাতত এ পর্যন্তই! আপনি যদি নিরাশা আর দুরাশা সহ্য করতে না পারেন তবে আর তলে নাইমেন না! নিচে আরও শীত! হীম ঠান্ডা!
সারা জীবন খাটা-খাটুনি করে একটা রুমের ব্যবস্থা করতে পারলাম না আর শালার আমেরিকাতেই ১৪ টি বিলাসবহুল বাড়ি। বড্ড হিংসে হয়! খোঁজ নিয়া দেখুন জো বাইডেনেরও আমেরিকায় ১৪টি বাড়ি নাই! আমেরিকার প্রেসিডেন্টের তাবৎ বিশ্বে যদি ১৪ টি বাড়ির সন্ধান দেখাতে পারেন তবে আপনার জুতা, আপনার গাল! নাইরে ভাই, নাই! আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও একের অধিক বাড়ি নাই! তাকসিম বাবুর আছে! যতোদিন পারবে এখানে চুষবে! বিপদ দেখলেই চট্টিল! শুয়োরের বাচ্চা কি মানুষের জন্য গালি হতে পারে? হওয়া উচিত না।
আপনি কি ভাবছেন দেশ থেকে মাত্র ১৪ টি বাড়ির মূল্যের টাকা পাচার করেই আমেরিকায় ১৪টি বাড়ি খরিদ করা গেছে? ওরে না! কমপক্ষে ৭০ টি বাড়ির মূল্য পাচার করেই তবে ১৪ টি বাড়ি ক্রয় করেছে! বাকিটা সিস্টেম লস! এও কি ভাবছেন নাকি যে, যত টাকা পাচার করেছে তার সবটাই বাড়ি কেনার পিছনে ব্যয় করেছে? ওরে না! যে দামে বাড়ি কিনেছে তার চেয়ে বহুগুন অর্থ এরা বিভিন্ন জায়গায় গচ্ছিত রেখেছে!
কী ভাবছেন? এরা টাকা পাচার করেছে? মোটেই না। এরা ডলার পাচার করেছে। যে ডলার সংকটের জন্য সরকার খাবি খায়, বিরোধিরা কাছা মেরে সরকারকে চেপে ধরেছে, সেই ডলার দেশান্তরীণ করে এরা ওখানে ফূর্তি করে! ভাবছেন তাকসিমদের সংখ্যা কত? মাত্র এক! দূর বোক সামনে কিছু শূণ্য দাও! শূণ্য তো অ-দামী!
তাকসিমদের কী শাস্তি হওয়া উচিত? পুড়িয়ে মারলেও কয়বার পোড়ালে দেশের ক্ষতচিহ্নের কিছুটা ভরটা হবে? দেশবাসী ময়লা/ দূর্গন্ধযুক্ত পানিও সব সময় পায়না আর কর্তাবাবু লাল/নীল পানিতে সাঁতরায়! আচ্ছা, আমেরিকার পানির রঙ কী? সেখানেও কি ওয়াসা আছে? তাকসিম বাবুর মত এমডি? থাকা উচিত! তবেই তো তাদের কারো বাংলাদেশে দশটা/বিশটা বিলাসবহুল বাড়ি হতো! নারীর দাম কিছুটা বাড়ত! অথচ কেবল আমেরিকার বেগমরাই লাভবান হল!