মুহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন :
সব জায়গার দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে? অনিয়ম করাই সব খানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। কেউ সৎ থাকার চেষ্টা করেও সৎ থাকার উপায় নেই। ইউ এন ও এর কার্যালয়ে যেটা ফ্রি ভাবে সার্ভিস পাবার কথা সেটা পেতেও ২০০০/- স্টাফকে দিতে হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বড় সাইনবোর্ডে লেখা থাকে ‘অনলাইন নামজারি ফি ১১৫০/-‘ অথচ নামজারি করাতে গেলে ৫/৬ হাজারের নিচে করানো মুশকিল। আর কেউ নির্ধারিত ফি’তে করাতে গেলে এটা/ওটা লাগার কথা বলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। তখন ভোগান্তির কথা ভেবে ‘সৎ’ থেকে বের হয়ে ‘অসৎ’ হতেই হয়। শিক্ষকদের জাতির কারিগর বলা হয়। শিক্ষা অফিসে গেলে শিক্ষকদের জন্য অফিস সহায়ক/ কম্পিউটার অপারেটর এর কাছ থেকেও ‘ফ্রি’ সার্ভিস পাওয়া যায় না। অথচ তাঁদের রাখা হয়েছে শিক্ষকদের কাজকে সহজ করার জন্য। সরকারি হাসপাতালে টেস্ট জন্য মেশিন থাকলেও ‘অপারেটর’ নেই। আবার ‘অপারেটর’ থাকলেও ‘মেশিন’ সচল থাকেনা। কিংবা সব থাকলেও যে ‘টেস্টে’ খরচ বেশি সেটা বাইরে থেকে করাতে হয়। সারের দোকানে সারের প্রতি কেজির দাম সম্বলিত চার্ট ঝুলানো থাকে অথচ সেই ‘নির্ধারিত’ দামে সার কেনা যায় না। সরকারি ভাবে ৩০ কেজি চাল ১০/- হারে ক্রয়ের সুযোগ কেউ পেলেও মূলত অনেক জায়গায় ২৮/২৯ কেজি দেয়া হয়। ১/২ কেজি কোথায় যায় কেউ জানে না। সেদিন পত্রিকার কাগজে ছাপা হয়েছে ‘উদ্বোধনের পর পরই হাজার কোটি টাকার সেতু ভাঙা হবে’! কী দারুণ তাই না? রাজধানীর জুড়ে এক সচিব স্যার এর ছবি সম্বলিত পোস্টার/ব্যানার লাগাতে নাকি ২ কোটির মত ব্যয় হয়েছে। সেটাও গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হলে কেউ-ই জানত না। দ্বীপ জেলা ভোলার এক সাংসদ এর বিরুদ্ধে কিছু অনিয়ম/দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কারো বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ’ করলেই সব প্রমাণিত হয়ে যায় না। আইন আদালতে ‘খু*নি’ রা স্বাক্ষীর অভাবে খালাশ পেয়ে সরকারি/ বেসরকারি সফরে যেতে পারেন।