বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



রাঙ্গাবালীর জল কপাটের বেহাল দশা, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা!
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২২, ১:৫০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

রাঙ্গাবালীর জল কপাটের বেহাল দশা, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা!

রাঙ্গাবালী(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

ভেঙ্গে গেছে কপাট, দেবে গেছে গেট। র্দীঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে
অকার্যকর রাঙ্গাবালীর উপজেলার বেশির ভাগ স্লুইস গেট(জল কপাট)। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে বিভিন্ন নদ-নদী ও খালের ওপর নির্মিত বেশির ভাগ স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়ে আছে কয়েকবছর ধরে । এতে ক্ষতির মুখে কৃষকের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা । প্রাকৃতিক
দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সম্পদ ও মানুষের জীবন রক্ষার জন্য স্লুইস- কালবার্ড বসানো হয়েছিল। কিন্তু সংষ্কার না করা, অবৈদ দখল, পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায়, অনেক গুলো স্লুইস কালবার্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার শস্কায় ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে উপজেলার কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন ,লবণাক্ত পানির প্রবেশে তাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায় এমনকি ফসলি জমিও চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতি বছরে প্রতিটি ফসলের সময় যদি এভাবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তাহলে তো কৃষক বাঁচবে না। সে জন্যই এই অকেজো স্লুইস গেটগুলো অতি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান কৃষকরা । তারা আরও বলেন, স্লুইস বসানোর পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এখন পর্যন্ত স্লুইস মেরামত করেনি। অনেক গুলি কপাট নষ্ট হয়ে গেছে, খাল খনন না করায় পলি পরে স্লুইজের অনেক কপাট অকেজো হয়ে পড়েছে। এক কপাটের স্লুইসগুলো অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাঝে মধ্যে মেরামত করে স্লুইসগুলি সচল রাখছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কৃষক বলেন, প্রভাবশালীরা মাছ ধরার জন্য জল কপাট দখল করে রেখেছেন। খালগুলোতে মাছ শিকারের জন্য তাদের ইচ্ছে মতো (সুবিধামতো) পানি উঠায় এবং নামায় নিজেদের সুবিধার জন্য এবং আর্থিকভাবে লাভমান হওয়ার জন্য বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি করে রাখে। তাই বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন হাজারো কৃষক।আমাদেও একটাই দাবি জল
কপাটে মাছ ধরা বন্ধ করা হউক।

রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাস থেকে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেড়িবাদ নির্মাণ করে। এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১৪৭ কিলোমিটার নির্মাণ করেছে। বাঁধের অভ্যন্তরীণ জনপদ ও আবাদি জমিতে বর্ষায় জমে থাকা অতিরিক্ত পানি অপসারণ ও লবণাক্ত পানি নিয়ন্ত্রনের জন্য বেড়িবাঁধে ১৮০টি ছোট-বড় স্লুইসগেট নির্মাণ করে (পাউবো)।

সরেজমিনে দেখাযায়, প্রায় দুইযুগ আগের ছোট-বড় স্লুইস বসানো হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের সুবিধামতো স্লুইসগেট নিয়ত্রন করে। এবং তাদের ছত্র ছায়ায় প্রতিটি খালে দেখাযায় ১০-১৫ টি করে ধর্মজাল পেতে পোনা মাছ থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের মাছ শিকার করা হচ্ছে। এবং ছোট ফাসের জালের কারনে খালের পানি আটকে থাকে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।এদিকে এলজিইডি ১৪৭ কিলোমিটার সড়কের কজ করেছে সড়কের দু-পাশের খাল বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে কয়টি ছোট বড় কালর্বাড করেছে। তাও অনেক গুলি কালবার্ডের মুখের সামনে বাদ দিয়ে কেউ করেছে পুকুর আবার কেউ করেছে বাড়ি ঘরের ভিটা এই অপরিকল্পিত বাড়ি ও পুকুর করার কারনে জমিতে পানি আটকে থাকায় কৃষি কাজ করতে পারছে না কৃষকরা।

উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,অধিকাংশ স্লুইসগেট দেখাশুনা (নিয়ন্ত্রন) করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালগুলোতে মাছ শিকারের জন্য তাদের ইচ্ছে মতো (সুবিধামতো) পানি উঠায় এবং নামায় নিজেদের সুবিধার জন্য এবং আর্থিকভাবে লাভমান হওয়ার জন্য বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি
করে রাখে। তাই বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন হাজারো কৃষক। সময় মতো পানি নামতে পারেনা। যার ফলে সময় মতো কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারেনা,কেউ কেউ ধানের চারা রোপন করলে ও জলাবদ্ধতার কারনে তাও নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত পলি জমে খাল এবং স্লুইস ভরাট হয়ে যায়। স্লুইসের লোহার গেট মরিচা পরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লবণাক্ত পানি অসময়ে ঢুকে পরে। এতে কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয় সাধারন কৃষকের। যার প্রোভাব পরে আমাদের
জাতীয় অর্থনীতিতে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল আহম্মেদ বলেন, বৃষ্টির কারণে যে জলবদ্ধতা হবে সেই পানিটা আমরা বেড় করে দিবো ,আবার জোয়ারের লবণাক্ত পানিটা ভিতরে না ঢুকতে পারে এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্লুইস গেট । কিন্তু উপজেলার অনেক স্লুইসগেট অকেজো যার ফলে বাইরে জলবদ্ধতার কারণে পানি বেড় করে দিতে পাড়ছে না ,এতে করে কৃষকের দুই ধরনের ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে। যদি এই স্লুইস গেটগুলো পুনরায় সংস্কার করা

যায় ,তাহলে আমাদের একদিকে যেমন নোনা পানি উঠবে না ,জলবদ্ধতা নিরসন করে কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে ।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সুমন বলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১৮০ টি স্লুইস আছে। এর মধ্যে কিছু কার্যকার আছে আবার কিছু অকার্যকার আছে। এর মধ্যে ১৪২ টি কার্যকার ও ৩৮ অকার্যকার আছে। এর মধ্যে কিছু কিছু স্লুইস একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই স্লুইস গুলো আবার নতুন করে করতে হবে। তবে এ বছর আমাদের হাতে কোন বাজেট নাই।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া