পানির নিচে বরিশাল নগরী: সড়কে থৈ থৈ করছে :ঘর বাড়িতে পানি :দুর্ভোগ চরমে
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুইদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বরিশাল নগরীর সব সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সোমবার দুপুরের পর থেকে নগরীর সব অলি-গলি ডুবে যায়। এতে যানবাহন চালকসহ নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
নগরীর কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা গোলাম মোর্শেদ বলেন, কালুশাহ সড়কসহ আশপাশের অলি গলিতে হাঁটু পানি। ড্রেনের ময়লা পানি, বৃষ্টির পানি ও নদীর পানি একাকার হয়ে বিদঘুটে অবস্থা। এ পানি পায়ে লাগলে চুলকানি শুরু হয়।
নগরীর সদর রোড ও বটতলার পর থেকে পানি সবচেয়ে বেশি বলে তিনি জানান।
সরজমিনে নগরী সংলগ্ন চর আবদানী, বেলতলা, আমানতগঞ্জ, উলালঘুনী সড়ক পানি নিচে দেখা গেছে।
এর আগে এসব এলাকা পানির নিচে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নগরীর বেলতলা এলাকার দোকানী সাইদুল।
তিনি বলেন, বেলতলা খেয়াঘাট থেকে বেলতলা বাজার সড়কে কখনও পানি উঠতে দেখা যায়নি। আজ সেই সড়কে হাঁটুর কাছাকাছি পানি।
বরিশাল নগরীর সড়ক হাঁটু পানির নিচে
নগরীর ভাটার খাল এলাকার বাসিন্দা জুয়েল জানান, নগরীর রাজাবাহাদুর সড়ক, ক্লাব রোড, এমনকি বরিশাল সার্কিট হাউজ চত্বর পানির তলায়। প্রায় হাঁটু অবদি পানির নিচে রয়েছে সার্কিট হাউজ চত্বর ও সড়ক।
কলেজ এভিনিউ, ভাটিখানা, কাউনিয়া, ভাটারখালসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পানি উঠেছে।
নগরীর আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি কলোনির বাসিন্দা রুবেল জানান, তার বাসায় হাঁটু পানি রয়েছে। আলমারি, শোকেস খাটের উপর রাখতে হয়েছে। কলোনির প্রবেশ পথ কেডিসি সড়ক পানির তলায়।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, রাত ৮টা ৪৯ মিনিটের পরিমাপে দেখা গেছে কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ দশমিক ৭২ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর পানি প্রবাহের বিপদসীমা হলো ২ দশমিক ৫৫ মিটার। বিপদসীমার চেয়ে শূন্য দশমিক ১৭ মিটার বেশি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
“এতে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী নগরীর নিম্নাঞ্চল পানিভরতি হয়ে রয়েছে। ডোবা-নালা, ড্রেন পানি ভর্তি থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না।”
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নগরীসহ জেলায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, সিটি কর্পোরেশনের সর্বশক্তি দিয়ে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার চেষ্টা করছে। সিটি মেয়রের নির্দেশে নগরীর সকল ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে।