যশোর ব্যুরো : যশোরের ভবদহ সমস্যা সমাধানে ছয়দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ছয়দফা দাবি গুলো হলো- ক্রাস প্রোগ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগে বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু ও ডেল্টা প্লান-২১০০ এর সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিন কোটি ৮০ লাখ টাকার সেচ প্রকল্প ও প্রস্তাবিত প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ অবিবেচনাপ্রসূত সেচ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। দ্রুত আমডাঙ্গা খাল সংস্কার কাজ করতে হবে। প্রি-ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক সবার সামনে টাঙিয়ে দিতে হবে। কাজের স্বচ্ছতা নিরূপণে আন্দোলনকারী সংগঠন, জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীকে সংশ্লিষ্ট করে তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। জনপদের ফসল, বাড়িঘরসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কৃষি ঋণ মওকুফ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান, নদী হত্যা, জনপদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, ফসল, বসতবাড়ি ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবদহ সমস্যা স্থায়ী সমাধানে উজানে মাথাভাঙ্গা নদীর সঙ্গে ভৈরব নদের সংযোগের প্রস্তাবিত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ চৈতন্য কুমার পাল, শিবপদ বিশ্বাস, অনিল বিশ্বাস, রাশিদা বেগম, রাজু আহম্মেদ, নাজিম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম-উর-রহমান, হাসিনুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। পরে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি দল ঘটনা ও বর্তমান পরিস্থিতি তাকে অবহিত করেন।