পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচরীরা নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা করেন না। তারা নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসেন না, মানেন না অফিসের ড্রেস কোডও।লুঙ্গি আর গামছা গায়ে দিয়ে অনেকটা নিজ বাড়ির মতো অফিস করেন এখানকার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মনিরুজ্জামান। একই চিত্র উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সজল মাহমুদের ক্ষেত্রেও।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে রাঙ্গাবালী উপজেলা ভূমি অফিস ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। এ সময় দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও কোনো কিছু মানতে নারাজ এ কর্মকর্তারা। ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করছেন সেবাগ্রহিতাদের কাছ থেকে।ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষকে নানা জটিলতার বিষয় শুনিয়ে জারিও দিচ্ছেন। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে বাধে বিপত্তি। দুই সাংবাদিক মারধর করে ভূমি অফিসের দালালদের সহযোগিতায় একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার সজল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। খালি গায়ের ছবি তোলায় ক্যামেরা নিয়ে নেয়া হয়েছিল। আবার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা ভাঙার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
রাঙ্গাবালী থানা অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ছি। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি কামরুল হাসান রুবেল ও ইংরেজী দৈনিক এশিয়ান এইজ পত্রিকার রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি মু. জাবির হোসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করেন।এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুনুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।