সাংবাদিক তানুকে ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ডালিম কুমার রায় সাংবাদিক তানভীর হাসান তানুর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে তানুর আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ঠাকুরগাঁও সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর তানুর আইনজীবীরা তার জামিননামা আদালতে দাখিল করেন। এরপরই আদালতের হাজতখানা থেকে সাংবাদিক তানু মুক্ত হন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭শে জুন তানুর করোনা শনাক্ত হয়। তানু অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে ওষুধ কেনা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমার কাছে আছে। সেটা যাতে প্রকাশ করতে না পারি, সে জন্যই আমাকে এ মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। তানভীর হাসান তানুর পক্ষে ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল হালিম, ইমরান হোসেন চৌধুরীসহ কয়েকজন। এ বিষয়ে ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা মহান পেশা। হাসপাতালের অনিয়মের সংবাদ তুলে ধরে তানভীর কোনো অন্যায় করেননি। তা ছাড়া লকডাউন পরিস্থিতির কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় হাসপাতালে খাবার সরবরাহে ব্যত্যয় ঘটেছিল বলে মামলার বাদী নিজেই স্বীকার করেছেন। এরপরও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে মামলাটি করা হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। মামলার শুনানি শেষে তানুর বাবা আবু তাহের বলেন, আমার ছেলে করোনায় আক্রান্ত। আদালত ন্যায়বিচার করেছেন। শনিবার রাতে তানভীর হাসান তানুকে আটক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলার সব সাংবাদিকরা। ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এমদাদুল হক ভুট্টো ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, একটি সত্য সংবাদ প্রকাশ করার পরেই এভাবে মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করা মানে দেশের কণ্ঠ চেপে ধরা। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমি তীব্র ও প্রতিবাদ প্রকাশ করছি। সুরাহা না হলে পরবর্তীতে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান।