সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
মেধাবী ছাত্র রিপন সাহা। হাটিহাটি করে আঠারো বছরে পা দিয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার জীবন হচ্ছে বিষন্ন। কারণ-মুখম-লের বা পাশে অদ্ভুদভাবে মাংসপিন্ডে বাড়ছে। একারণে বা পাশের চোখটি মাংসপিন্ডে পুরোপুরি ডেকে গেছে। তাই মুখম-লটি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ছোটবেলায় অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রিপনের এই অবস্থা। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চায় সে।
রিপন সাহা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের দাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্র এবং ওই ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের জয়দেব সাহার বড় ছেলে। রিপনের বাবা পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। রাস্তার পাশে বসে বাদাম, জিলাপি, খুরমা ইত্যাদি বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালায়। পাঁচ সদস্যের সংসারে রিপনের বাবা জয়দেব একাই উপার্জন করেন। অভাব অনটনের মধ্যে রিপনের পড়ালেখার খরচা জোগান দিতে হয়। কিন্তু রিপনের চিকিৎসার খরচ বহন করা তার পক্ষে দুঃসাধ্য। রিপন সাহা বলে, ‘আমার চেহারা ভয়ঙ্কর হওয়ায় সহপাঠিরা আমার সঙ্গে মিশে না। তারা আমাকে এড়িয়ে চলে। আমিও চাই, ওদের মত সুন্দর জীবন যাপন করতে। পড়ালেখা করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন আমার। আমি তা পারবো কিনা জানি না।’ রিপনের মা শেফালি রানী বলেন, ‘রিপনের বয়স যখন এক বছর, তখন একদিন প্রচুর জ্বর হয়। এরপর মুখের বা পাশে মাংস ফুলে ওঠে। দিনদিন মুখের বা পাশে বাড়তে থাকে মাংস। পরে ডাক্তার দেখানো হইলেও তার কোন পরিবর্তন হয়নি। এখন বা পাশের চোখটা পুরোপুরি ঢেকে গেছে। মুখ আর থুতনির পাশেও মাংস বেড়ে গেছে। তাই বা চোখে কিছুই দেখতে পায় না।’ রিপনের বাবা জয়দেব সাহা বলেন, ‘মাসখানেক আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি। তারা বলেছেন-তিন ধাপে অস্ত্রোপাচার করে চিকিৎসা করতে হবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচা হতে পারে। আমি অসহায় মানুষ এত টাকা আমার পক্ষে বহন করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছেলের চিকিৎসা করানোও জরুরি। তাই ছেলের চিকিৎসার জন সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।’ ছোটবাইশদিয়া বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রিপন আমাদের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। অর্থাভাবে ওর ভাল চিকিৎসা করাতে পারছে না।’ ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধুৃ।’ উপমহাদেশের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী ভুপেন হাজারিকার এই গানটির মতই রিপন সাহার জন্য এই সমাজের বিত্তবানদের সহানুভূতি প্রয়োজন। তাহলে সমাজের সুস্থ্যসবল কিশোরের মত রিপনও সুন্দর মুখমন্ডল নিয়ে দু’চোখে সমান দৃষ্টি ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন রিপনের বাবা জয়দেব সাহার মোবাইল নম্বরে ০১৭৮৫৪২০১৭৩ (ডাচ্-বাংলা)।