স্টাফ রিপোর্টার : চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাংবাদিক নোমানীর মা ও বাবা । সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ১৪ জুন সকালে। হুমকির কারনে উৎকণ্ঠা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। হামলার ভয়ে পরিবারের সবাই এখন অনিরাপদ। হুমকি দেয়ার পরই রাজাপুর থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
১৫ জুন’২২ তারিখ দুপুরে রাজাপুর থানায় সাংবাদিক নোমানীর মাতা মোসাঃ পারুল বেগম একটি সাধারন ডায়েরী করেন। তিনি ডায়েরীতে উল্লেখ করেন,আমার ছেলে মামুনুর রশীদ নোমানী,আমার মেয়ে লিপি আক্তারসহ আমাদের তিনজনকে গত ৩ জুন ২২ তারিখ বিকেল অনুমান চার টায় চল্লিশ কাহনিয়া শাহরুমী বাজারে বসে রাজাপুর থানার মামলা নং ০১/৬৪ ,তারিখ :০৪/০৬/২০২২ ইংরেজী এর আসামীরা হামলা চালায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার জন্য কুপিয়েছে ।
আসামী মোঃ দুলাল, পিতা :মুনসুর মোল্লা,কালু মোল্লা ,পিতা :ছন্দু মোল্লা,ফজলে হক, পিতা :গোলাপ খান, হোসেন আলী,পিতা হাফেজ,আমিনুল, পিতা :আলম সর্ব সাং চল্লিশ কাহনিয়া,থানা রাজাপুর, জেলা ঝালকাঠী উপরোক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ১৪ জুন ২২ তারিখ সকাল অনুমান ৮ টার সময় আমাদের ঘরে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে এবং এও বলে মামলা তুলে না নেয়া হলে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে তারা আমার পুত্র মামুনুর রশীদ নোমানীর বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা বানোয়াট কথা লিখে পোস্টার ছেপে বিভিন্ন স্থানে লটকিয়ে দিয়েছে।এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা প্রয়োজন ।
লিখিত অভিযোগটি সাধারন ডায়েরী হিসেবে ডায়েরীভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ জানান। রাজাপুর থানা লিখিত অভিযোগটি সাধারন ডায়েরী হিসেবে গ্রহন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ডিউটি অফিসার এস আই শোয়েব জানান,আমরা লিখিত অভিযোগটি সাধারন ডায়েরী হিসেবে গ্রহন করেছি এখন আইনগত ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য,৩ জুন’২২ তারিখ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠীর রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
এলাকার চিহ্নিত জাল টাকা ও মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দুলাল , আলম, ফেরদাউস, ফজলে হক, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, দেলোয়ার সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে নোমানীর মা ও বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কোপায় সন্ত্রাসীরা। তাদের তিনজনকেই মুমূর্ষূ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।