বরিশাল: প্রকাশিত সংবাদে নাম না আসায় বরিশালের গৌরনদীতে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক।
তিনি জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। সংবাদে উপজেলার নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নাম দেওয়া হলেও গৌরনদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাওলাদারের নাম না দেওয়ায় ওই নেতা ক্ষিপ্ত হন।
এ ঘটনার জের ধরে শনিবার বিকেলে টরকী এলাকায় সাংবাদিক ফারুক হাসানকে প্রথম দফায় পিটিয়ে আহত করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে তিনি টরকী বন্দরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেন। পরে রাশেদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে সাংবাদিক ফারুককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
ফারুক হাসান বলেন, তাদের হামলার ধরনই ছিলে হত্যার করার মতো। তবে বন্দরের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সাংবাদিক ফারুকের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতারা।
রোববার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি বদরুজ্জামান খান সবুজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বাবুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক নেতারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অপরদিকে টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাওলাদারকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা।