শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণের পদক্ষেপ নিতে হবে
প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
দেশের বহু জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। প্রায় সারা দেশেই মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে; যা হাড় কাঁপিয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হলেও আগের মতো কাজও পাচ্ছেন না। শীতের তীব্রতা বাড়লে শ্রমজীবী মানুষকে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষই বিপাকে পড়ে বেশি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ইতোমধ্যে দেশে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। গত কয়েকদিন দেশের অধিকাংশ এলাকায় দিনেও কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে দিনে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। এতে অদূরের মানুষজন, বস্তু বা যানবাহন দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চালানোর সময় সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন ১২ হাজারের বেশি। তীব্র শীতে চলাচলের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা সম্ভব।
বছরের শুরুতেই পৌষের ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হাড় কাঁপানো বাতাসে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের ৮০ শতাংশই শীতজনিত রোগের কথা বলছে; যাদের বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের রোগ যাতে মারাÍক আকার ধারণ না করে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় ক্ষতি হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলার। এছাড়া রবিশস্যের মধ্যে শাকসবজি, পেঁয়াজ, ডালসহ অন্যান্য ফসলের ওপরও এগুলোর প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে প্রান্তিক কৃষকদের সচেতন করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন শীতকালেও কিছুদিন পরপর বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশে অসময়ে বৃষ্টিপাত হলে ফসলের ক্ষতি হয় এবং মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে হবে।