ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার ইলিশা পশুর হাটের একটি খণ্ডচিত্র। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ভোলায় প্রকাশ্যে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই হাটে অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো লকডাউনের মধ্যেই প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত হাঁস-মুরগি, কবুতর, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের হাট বসছে। এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
হাটে আগত মানুষ জনকে মাস্ক পরার জন্য মাইকিং করছেন এবং করোনা বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তরে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে বসে শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী ইলিশা হাট।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রধান সড়কের দুই পাশে যথা নিয়মেই হাট বসেছে। হাটের আশপাশের স্থায়ী দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। দু একটি চায়ের দোকান খোলা থাকলেও সড়কের দিকে তাদের সতর্ক দৃষ্টি, কখন চলে আসে প্রশাসনের লোকজন। কিন্তু প্রধান সড়কের দুই পাশেই হাঁস-মুরগি, কবুতর, শাক-সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কেনাবেচাও হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে।
তবে কোরবানির পশুর হাটটি বিগত দিনের মতো সড়কের দুই পাশে বসেনি। হাট সংলগ্ন ইলিশা ইউনিয়ন কাউন্সিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে। রাস্তা থেকে কিছুটা আড়ালে হওয়ায় সহসা চোখে পড়ছে না। রাস্তা থেকে বোঝা না গেলেও ভেতরে গিয়ে দেখা যায় বেশ জমে উঠেছে পশুর হাট। শতশত গরু ছাগল কেনাবেচা হচ্ছে। প্রচণ্ড ভিড়। ঠেলাঠেলি করে লোকজন দরদাম হাঁকাহাঁকি করছে।
অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। তবে হাট কর্তৃপক্ষ মাইকে বারবার মাস্ক পরার জন্য তাকিদ দিচ্ছেন। ঘোষণা করছেন যথারীতি হাট বসবে। ঘোষণা করা হচ্ছে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাটে কেনাবেচা করা যাবে। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি হাঁস-মুরগি, শাক-সবজি কিংবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বেচাকেনার স্থান গুলোতেও। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হাটের ইজারাদার ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী মাস্টার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট বসিয়েছেন। তবে মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। নিয়মের বাইরে তিনি কিছু করছেন না।