দৌলতখানে কিস্তির জন্য গৃহবধূকে মারধর, এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রকাশ: ৩ মার্চ, ২০২৩, ১:১৩ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
ভোলার দৌলতখানে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) শাখা ব্যবস্থাপক ও দুই নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূকে আহত অবস্থায় দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- ওই সংস্থার নুরমিয়ার হাট শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইলিয়াস, মিয়ার হাট শাখার গীতা রানী ও সালমা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় এনজিওটির মিয়ার হাট শাখা কার্যালয়ে। নির্যাতিতা গৃহবধূ বিবি ফাতেমা (৩৫) উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলামের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ওই সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইলিয়াছ, কর্মকর্তা গীতা রানী ও সালমা বেগমসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তার বক্তব্য ও অভিযোগপত্রে জানান, গত চার মাস পূর্বে তার স্বামী কামরুল ইসলাম ওই সংস্থার নুরমিয়ার হাট শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। মাসিক কিস্তি তাকে ৪০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ কিস্তির পুরো টাকা জোগাড় করতে না পারায় ১০ হাজার টাকা জমা দিতে মিয়ার হাট শাখায় আসেন। সেখানে পূর্ব থেকে উপস্থিত নুরমিয়ার হাট শাখা ব্যবস্থাপক ইলিয়াছ তাকে কিস্তির পুরো ৪০ হাজার টাকা জমা দিতে চাপ দেন।
তিনি ১০ হাজার টাকা রেখে চলে যেতে চাইলে তাকে অফিসে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইলিয়াছের নেতৃত্বে গীতা রানী, সালমা বেগম ও আরও ৫-৭ জন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। পরে সংবাদ পেয়ে তার খালাতো ভাসুর যুবলীগ নেতা সাহি সরোয়ার ডালিম তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইলিয়াছ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী কিস্তির ৪০ হাজারের মধ্যে ১০ হাজার টাকা রেখে চলে যাওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে তাকে বসিয়ে রেখে তার সন্তানদেরসহ অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান। তবে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।