মির্জাগঞ্জে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর সন্ত্রীদের হামলা, আহত ১১ :আটক ১
প্রকাশ: ২১ মে, ২০২৩, ১:৫২ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও সমর্থকদের উপর হামলা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাম মাস্টারসহ একদল সন্ত্রাসী। মির্জাগঞ্জের কাকড়াবুনিয়ার গাবুয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠী সোটা নিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করেছে ১১ জনকে। এ হামলায় নেতৃত্ব প্রদান করেন সেলিম মিয়া। এসময় কামাল, সালাম মাস্টার, নাসির ও অসংখ্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করে।
গত মঙ্গলবার ১৬ মে দুপুর পৌনে একটার দিকে গাবুয়া বাজার এলাকার জোড়া কালভার্ড নামক স্থানের কেরানী বড়ির সামনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করলে ১১ জন আহত হন। আহতদের মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।গুরুতর আহতদেরকে শেরেবাংলা মেডিকেল করেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হলেও বাকি আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে নৌকা মার্কার প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম স্বপন গত ২১ ফেব্রুয়ারী মূত্যুবরন করলে এই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষনা করা হয়। এতে ইউনিয়নের সাবেক(২০১৬-২০২১) চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতিক নিয়ে আবারো নির্বাচনের প্রচারনা করেন। এই উপ-নির্বাচনে মোট ৭জন প্রর্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), মোঃ সেলিম মিয়া (ঘোড়া), মো: নুর মোহাম্মদ (হাত পাখা), মো: বাদশা খান (টেলিফোন), নুরুজ্জামান নিরু (মটর সাইকেল), কামাল হোসেন (আনারস), এবং মো: সেহেল (চশমা) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোট চাইতে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কেরানীবাড়ির সামনে গেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে প্রথমে আমার গাড়ি অবরোধ করে। আমার ড্রাইভারকে মারধর করে পরে আমাকেও মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে আসে। তখন প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাশকুর, কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর এবং সেলিমের ভাইরা লাঠিসোটা, রামদা নিয়ে এসে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমার অন্তত ১১জন কর্মী আহত হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উজ্জ্বল মেম্বারের মাথার চারা ভেঙ্গে যায় এবং আমার ছেলেরও মাথা ফেটে যায়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে এবং উজ্জ্বল মেম্বারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ২-৩ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা জাতির বিবেক ও মানুষ গড়ার কারিগর হয়ে কিভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে? এটা আমার কাছে খুবই লজ্জা জনক।
মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ঐদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে ২০ জনের নাম সহ আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা করে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা মামলার ৪নং আসামী সালাম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছি। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।