রোগীদের কাছে আতংকের এক নাম ডাঃ মনিরুল আহসান : অপারেশনের পরে পেটে কিছু রেখে দেয়াই তার কাজ : টাকার নেশায় সুস্থ্য রোগীকে করেন অপারেশন
প্রকাশ: ৩ মে, ২০২০, ২:৫০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
*কোন রোগীর কিডনী বিকল
*কেউ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে
*কেউ এখন কবরে
*মামলা হলে ম্যানেজ করে নেন
*রক্ত ছাড়াই করে অপারেশন
*কর্ম সরকারি হলেও প্রাইভেট প্রাক্টিসে জড়িত
*কর্মস্থলে থাকেন অনুপস্থিত
মামুনুর রশীদ নোমানী : ডাঃ মনিরুল আহসান।
পটুয়াখালী সরকারি ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) পদে কর্মরত। তার কোড নং ৪১৭৬৪। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। সকলকে ম্যানেজ করে হাজিরা খাতায় উপস্থিত থাকলেও হাজির থাকেন বরিশালে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে তার চেম্বার।
সার্জারি ডাক্তার হওয়ায় তার চাহিদাও বেশ। চাহিদা থাকায় তিনি টাকা কামনোর নেশায় মত্ত। তার কাছে আসা রোগীদের কেউ এখন কবরে, কেউ মৃত্যুর পথ যাত্রী। কারোর কিডনী বিকল। টেষ্ট বানিজ্য ও অপারেশন করতে হবে তার কাছে রোগী হয়ে আসলেই। গত ২৭ এপ্রিল ঝালকাঠী সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউপির পশ্চিম বাজিতপুরের সোনীয়া রয়েল সিটি হাসপাতালে ভুল অপারশনের কারনে প্রান হারানোর পর একের পর এক বেড়িয়ে আসছে ডাঃ মনিরুল আহসানের যত অপকর্ম। সোনিয়ার অপারেশন টিমে ডাঃ মনিরুল আহসানও ছিলেন। সোনিয়া মৃত্যুর ঘটনায় ৩০৪ ধারার অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে। মামলার ২ নং আসামী মনিরুল আহসান।
মনিরুল আহসানের অপচিকিৎসা (১)
তিন বছর পর স্বস্তি পেলেন নজরুল
স্বস্তি নিয়ে ঢাকা থেকে ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারী শনিবার বাড়ি ফিরছেন পটুয়াখালীর বাউফলের কাজী নজরুল ইসলাম। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার থেকে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, অস্ত্রোপচার করেই তা দূর হয়েছে। মাঝে তিন বছর কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পটুয়াখালী অঞ্চলের এই জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে।
নজরুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, ‘একটু সাহস পাচ্ছি। মনে হচ্ছে এবার সুস্থ হয়ে যাব। তবে চিকিৎসকের ভুলে আমার যে কষ্ট হয়েছে, অর্থ খরচ হয়েছে, তার একটা বিহিত হওয়া দরকার।’
নজরুল ইসলাম চিকিৎসার কাগজপত্রসহ এসেছিলেন। কাগজপত্রে দেখা যায়, রাজধানীর বিডিএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় ৭ জানুয়ারি। অস্ত্রোপচার করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এস এম আমজাদ হোসেন। তিন বছর আগে করা অস্ত্রোপচারের জায়গায় আবার অস্ত্রোপচার করে ভেতরে থেকে যাওয়া সুতা বের করে এনেছেন অধ্যাপক আমজাদ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বরিশালের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে তাঁর হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেই থেকে এই সুতাগুলো তাঁর শরীরে ছিল। ওই অস্ত্রোপচার করেছিলেন ডাঃ মো. মনিরুল আহসান। অস্ত্রোপচারের কিছুদিন পর থেকে জায়গাটিতে প্রথমে অস্বস্তি হতে থাকে। চিকিৎসক ওষুধ সেবন করতে বলেন। সমস্যা দূর না হয়ে বরং যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসক মনিরুল ওষুধ অব্যাহত রাখতে বলেন। এভাবে প্রায় তিন বছর চলে। এরপর ওই জায়গা থেকে পুঁজ বের হওয়া শুরু হয়। আত্মীয়ের পরামর্শে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, আগের অস্ত্রোপচার করা জায়গায় সুতা থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে।
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও মনিরুল আহসানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নিয়মিত অস্ত্রোপচার করেন এমন একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় দুই ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয়। এক ধরনের সুতা অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময়ে শরীরের সঙ্গে মিশে যায়। অন্যগুলো মেশে না। সর্বশেষ অস্ত্রোপচারের কাগজপত্রে নজরুল ইসলামের শরীর থেকে সুতা অপসারণ করার (রিমুভাল অব এফবি, সচার ম্যাটেরিয়াল) কথা লেখা আছে।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ‘প্রথম অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক ভুলে ভেতরে সুতা রেখে এসেছিলেন। তার মাসুল আমাকে দিতে হয়েছে। তিন বছর আমাকে প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, পাশাপাশি পরীক্ষায় দেখা গেছে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আমার কিডনির ক্ষতি হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আমজাদ হোসেন সুতা অপসারণ করার কথা জানিয়েছেন। তবে
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে সতর্কতা খুব জরুরি। অস্ত্রোপচারের আগে সুই, সুতা, গজ, ছোট যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি করতে হয়। অস্ত্রোপচারের পর সেই তালিকা মিলিয়ে দেখতে হয়। তাহলে এই ধরনের ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
মনিরুল আহসানের অপচিকিৎসা (২) অপচিকিৎসায় লাশ হলো
নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া
১২ নভেম্বর, ২০১৭। ‘আমার মায় পুরাই সুস্থ্য। হাটাইয়া হাসপাতালে নিয়া শোয়াইছি। তখন মোবাইলে গেইমস খেলতে ছিল। নার্স আইসা নিয়া গেল। তারপর আর কোন কথা হয় নাই। মাইয়ার লাশ কান্ধে কইরা বাড়ি নিয়া আইতে হইছে।’ কথাগুলো চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা সুলতানের স্ত্রী কমলা বেগমের। বরিশাল নগরের বান্দ রোডস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ইভাকে চিকিৎসা দেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। কমলা বলেন, ডাক্তার কইছে ভুলতো হইয়া গেছে। এখন আপনার যা লাগে সব আমি দেখবো। তিনি আর কি দেকবেন। আমার পরান পাখিতো উইড়া গেছে। টাকা-পয়সা-দুনিয়াদারি সব আইনা দিলেওতো এখন আর আমার মাইয়াটা ফিইর্যা পামু না।’ এরপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সন্তান হারানো এই মা।
দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ইভা (১৪) ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক এবং পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার মনিরুল আহসানের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে। নয়ানীর মানুষ বলছে, এটা এক ধরনের খুন। খুন না হলে ইভা মারা যাওয়ার পরে ওই পরিবারের সমস্ত খরচ বহনের প্রস্তাব মনিরুল আহসান কেন দিবেন সেই প্রশ্নও তুরেছেন গ্রামবাসী।
দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, তিনিও শুনেছেন ডাক্তার অপারেশনে ভুল করায় তার ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, এপেনডিসাইটসে আক্রান্ত সুমাইয়া আক্তার ইভা ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডা: মনিরুল আহসানের স্ত্রী ডা: তানিয়া আফরোজের চিকিৎসা সেবা নিতে ভর্তি হন (কেবিন নং-৫২২, রেজি নং- ৮৪৫৭)। ভর্তি হওয়ার পর তানিয়া আফরোজ জানায় ইভার অপারেশন করাতে হবে। এই ডাক্তার তার স্বামী মনিরুল আহসানের কাছে প্রেরণ করেন।
ইভার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ওই দিনই অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করে ডাক্তার। ইবঅর মা কমলা বেগম জানান, আমরা না বলি নাই। যেহেতু এপেনডিসাইটস তাই আজ কাল একদিন অপারেশন করাতেই হবে। ফলে প্রাথমিক অবস্থাতে করালেই বিপদ চলে যায়। ইভার পরিবারের দাবী, ইভা সামান্য পেটে ব্যাথা অনুভব করলেও খুব বেশি অসুস্থ্য কখনোই ছিল না। ওই দিন অপারেশন করাতে নিয়ে যখন যায় তখনও স্বাভাবিক এবং সুস্থ্য ছিল। অপারেশন শেষে যখন কেবিনে ফিরিয়ে দিয়ে যায় তখন থেকেই একটু একটু অসুস্থ্য হয়ে পড়তে থাকে। অপারেশনের পর ডা: মনিরুল আহসান নিয়মানুযায়ী খাবার বন্ধ রাখতে বললেও অপারেশনের স্থান থেকে ময়লা পড়তে থাকে। এই ময়লা বন্ধ করানোর জন্য ইভার স্বজনদের জানানো হয় আবারো অপারেশন করতে হবে। সে অনুযায়ী ১ নভেম্বর পুনরায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় ইভাকে। জানা গেছে, দুপুরে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলেও ইভাকে রাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার পিতামাতার কাছে। ওইদিন রাত ১২টার দিকে প্রচন্ড অসুস্থ্য ইভা মারা যায়।
হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, অপারেশনে ডা: মনিরুল আহসান পেটের ভিতরের অনেকাংশ কেটে ফেলেন। যে কারনে পরিপাকতন্ত্রের কোন কিছুই ঠিক থাকে না ইভার। আর সে কারনেই মৃত্যুবরণ করে ইভা। ওই সূত্রের দাবী, এ ধরনের অপারেশন প্রতিদিনই হয়ে থাকে। বড় কোন ভুল না হলে রোগীর মৃত্যু হওয়ার কথা নয়।
মনিরুল আহসানের ভুল চিকিৎসায় ইভার মৃত্যু হলে বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা প্রতিকূল দেখায়একজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ম্যানেজ করা হয়।
মনিরুল আহসানের অপচিকিৎসা (৩)
ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাথী
৮ এপ্রিল ২০২০ : বরিশালে ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাথী
গত ১৫ মার্চ কিডনিতে পাথর জনিত রোগনিয়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় স্বরূপকাঠির সাথী বেগম।ঐ দিন রাতেই তার শরীরে অস্রপাচার করাহয়।দুই দিন পরে ডিউটি ডাক্তার অপারেশন স্থলে দেয়া টিউব খুলে ফেলে।পরবর্তীতে রোগী অসুস্থ হয়ে পরলে তাৎক্ষণিক আরো একটি অপারেশন করা হয়।
অপারেশন’র পরে চিকিৎসক ডাঃমনিরুল আহসান জানান রোগীর এপেন্ডিস অপারেশন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবারো অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে রোগীর টিউব স্থাপন করা হয়েছে।
দিন দিন রোগীর অবস্থার অবনতি হলে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুজন(সার্জন) সিনিয়র চিকিৎসক এনে রোগীর অবস্থার পর্যবেক্ষণ করাহয়।এসময় সিনিয়র চিকিৎসক রোগীর শরীরে অস্রপাচারের সিদ্ধান্ত নেন।
রহস্য জনক ভাবে রোগীর শরীরে অস্ত্র পচার না করে ডাঃমনিরুল আহসান রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন।১৫ মার্চ হতে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অবস্থান ও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের গুনতে হয়েছে ভুতুরে বিল।
ভুল চিকিৎসার না নিয়ে ,বরং রোগীকে পুজি করে মোটাঅংকের টাকা আদায় করলেন।সাথী বেগমের স্বামী জানান ভুল চিকিৎসা দিয়ে আমার স্ত্রীকে প্রায় মেরে ফেলছে। এতোটাকা পরিশোধ করতে আমাকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাঃ মনিরুল আহসান’র সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মনিরুল আহসানের অপচিকিৎসা (৩)
অপচিকিৎসার শিকার সোনিয়া এখন কবরে
বরিশাল নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডে রয়েল সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সোনিয়া বেগম (২৪) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয় গত ২৭ এপ্রিল। সোনিয়া ঝালকাঠী সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়ার মৃত্যু ঘটনার নিহতের পিতা কালাম বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ডাঃ মনিরুল আহসানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারার অভিযোগ এনে মামলা করেছে। মামলা নং ৩০।
মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মামুন। সোনিয়ার মাতা রহিমা অভিযোগ করেন আমার মেয়ে সোনিয়াকে রক্ত ছাড়াই অপারেশন করে। মৃত্যুর পরেও আমাদের থেকে টেস্ট বাবদ ১২ হাজার টাকা নিছে। মৃত্যু লাশকে তারা শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে ভর্তি করার জন্য। সেখানে নিয়ে গেলে তারা বরেন এতো অনেক আগেই মারা গেছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এদের কি কোন দিন বিচার হবেনা। এরা সেবা দেয়ার থেকে টাকাটাই প্রধান্য দেয় বেশী।
মনিরুল আহসানের
চেম্বার ব্যবসা জমজমাট :
সার্জারী চিকিৎসক মনিরুল আহসান । এই চিকিৎসক বরিশাল ইসলামিয়া হাসপাতালে ও বিভিন্ন হাসপাতালে তার ব্যক্তিগত চেম্বার বসিয়ে রোগীদের পরামর্শ দেন। দৈনিক তিনি প্রায় ১০০ জনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন । তিনি পরামর্শ ফি ৬০০ টাকা নিয়ে থাকেন। এছাড়াও এই চিকিৎসক ছোট বড় ধরনের ২০/২৫ টি অপারেশন করে থাকেন। ছোট অপারেশনে ১০/১২ হাজার টাকা থেকে বড় অপারেশন বাবদ ৩০ হাজার টাকার বেশি ফি নিয়ে থাকেন । এসব বাদে এই চিকিৎসক রোগীর বিভিন্ন টেস্ট থেকে একটা কমিশন পেয়ে থাকেন।
ডা: মনিরুল আহসানের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, প্রতিবন্ধী এক রোগীকে চারবার অপারেশন করাসহ বিবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার চিকিৎসায় নিয়মিতই ঘটে রোগী হয়রানি।
এব্যাপারে মনিরুল আহসানের মোবাইলে কল করা হলেও মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।