এই কাজ করেছেন রুবিনার জীবনসঙ্গী অভিনব শুক্লা। ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি। ২০২০ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিগ বসের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। সে কথা শুরুতে জানত না কেউ।
শো চলার সময় একপর্যায়ে রুবিনাই জানান, যে তাঁদের সম্পর্ককে একটা দ্বিতীয় সুযোগ দিতে তাঁরা বিগ বসে অংশ নিয়েছেন। এটা শেষ করে কাগজে–কলমে আলাদা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিগ বসে এসেই জীবনসঙ্গীকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন। আর ট্রফির চেয়ে এটিই বড়। জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
প্রথম আলোর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে সবাইকে হারিয়ে রুবিনাই জিতেছেন বিগ বসের ১৪তম আসর। ছোট পর্দার বড় অভিনেত্রী রুবিনা দিলেকের হাতে ট্রফি তুলে দেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বলিউড তারকা সালমান খান।
চার মাসের বেশি সময় বিগ বসে কাটিয়ে রুবিনার মনে হচ্ছে, তাঁর জীবনটাই বদলে গেছে। আর তিনি জিততেই এসেছিলেন। তবে সত্যি সত্যি জিতে যাবেন, তা ভাবেননি। বিগ বসের এই আসরে জেসমিন ভাসিন আর রাখি সাওয়ান্তের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যায়নি রুবিনার। কিন্তু সেসবের কিছুই মনে রাখতে চান না তিনি। কেবল সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘আমি সাদা খাতা নিয়ে বিগ বসের ঘরে ঢুকেছিলাম। সাদা খাতা নিয়েই বের হচ্ছি। খারাপ যা কিছু ঘটেছে, তা ওখানেই রেখে এসেছি। আর যা কিছু ভালো, তা স্মৃতিতে বাঁধাই করে রাখছি। ভালো আর মন্দ থেকে নেওয়া শিক্ষা সামনের জীবনে কাজে লাগাব।’
স্বামী অভিনব শুক্লার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগ বসে এসে আমি আমার জীবনসঙ্গীকে নতুন করে ফিরে পেয়েছি। আমরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ঘরে ঢুকেছিলাম। কী যে ভুল করতে বসেছিলাম! সেটা হতো জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। বিগ বস আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমি এখন জানি, আমার জীবনে অভিনব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে বের হয়ে আমরা নতুন করে সংসার শুরু করব। সম্পর্কের এই বিরতি আর বাঁকটুকু খুব জরুরি ছিল। ট্রফি থেকে এটা অনেক বড়।’
এই প্রতিযোগিতা থেকে রুবিনা শিখলেন, জীবনে অনেক কিছু ছেড়ে দিতে হয়। অনেক কিছু সহজভাবে নিতে হয়। বিগ বসের এই যাত্রা তাঁকে শক্তি আর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। মানুষ হিসেবে আরও উদার করেছে। তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য লাখ লাখ ভক্তকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রুবিনা দিলেক। তিনি ছাড়াও বিগ বসের সেরা পাঁচে ছিলেন আলী গনি, রাখি সাওয়ান্ত, নিকি তাম্বোলি ও রাহুল বৈদ্য।