প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরে জাল টাকার নোট দিয়ে দেনা পরিশোদ করতে গিয়ে বিউটি মিস্ত্রি নামে এক নারী পাওনাদার ও পুলিশের কাছে ধড়া পড়েছে। আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পাওনাদার সূর্বনা হালদার বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ বিউটিকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার সূর্বনা হালদারের পাওনা টাকা পরিশোদের নামে বিউটি মিস্ত্রি জাল টাকার নোট লেনদেনের এঘটনা ঘটে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।জানাগেছে, নৈকাঠি এলাকার পূর্বপরিচিত ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণার কাছ থেকে একই এলাকার সরকারী আবাসনের জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী বিউটি পাঁচ মাস পূর্বে ১৭ হাজার টাকা ধার নেয়। ১৫ দিন পূর্বে বিউটি তার দেনার টাকা শোধ করতে এসে সবগুলো ৫শ টাকার নতুন নোট প্রদান করেন। সরল বিশ্বাসে সে টাকা রেখে দিলে পুনরায় বিউটি নতুন ৫শ টাকার নোটের ৫হাজার টাকা দিয়ে সুবর্ণার কাছ থেকে পুরাতন নোটের ৫হাজার টাকা পাল্টে নেয়।গত ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ঐ টাকা থেকে সুবর্ণা পাঁচশত টাকার ১টি নোট নিয়ে মালামাল কিনতে গেলে দোকানদার নোটটি জাল সন্দেহ করে সুবর্ণাকে ফিরিয়ে দেয়। তখন সে ছুটে বাড়ীতে এসে বিউটির দেয়া বাকী ২১ হাজার পাঁচশত টাকা বেড় করে সবগুলো টাকার নোটই জাল বলে নিশ্চিত হয়।পরেরদিন ৬সেপ্টেম্বর সুবর্ণা জাল নোটগুলো নিয়ে বিউটির কাছে গিয়ে সে নোটগুলো কোথায় পেয়েছে জানতে চায়। এতে বিউটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও সে এই নোটগুলো দেয়ার কথা অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে সে রাজাপুর থানায় এসে সুবর্ণার নামে জাল টাকা দিয়ে তাকে ফাঁসানো উল্টো অভিযোগ দেয়।সুবর্ণাও রাজাপুর থানায় বিউটির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উভয় অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে করে। এসময় স্থানীয়রা জানায় বিউটি এর আগেও ইসলামি ব্যাংকে ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার প্রদান করে ধরা পরেছিল।এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বিউটি জানায়, ঐ টাকা গুলো সে পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ হিসাবে এনেছে। এ বিষয়ে পুলিশ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, আমরা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ অর্থ দেই, কোন নগদ টাকা দেইনা।এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ মোস্তফা জানান, দুজনকেই থানা হেফাজতে রেখে প্রাথমিক তদন্তের পর সূর্বনা হালদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর সূর্বনা হালদার বাদী হয়ে বিউটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে তাকে উক্ত মামলায় আদালতে চালান দেয়া হয়।