স্টাফ রিপোর্টার : ঘটনার সাথে জরিত না থেকেও মিথ্যা মামলার আসামি হলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসক মোঃ হারুন হাওলাদার, মোঃ সিফাত ও মোঃ মৃদুল ফরাজী।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে ৩১ তারিখ কহিনুর বেগম বাদী হয়ে ৬ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন যাহার সিআর মামলা নং-২৭/২০২১।
উক্ত ঘটনার সাথে কোন রকম জরিত না থেকেও মিথ্যা মামলার আসামি হলেন মোঃ হারুন হাওলাদার(৫৫) সহ দুই কিশোর মোঃ সিফাত (১৪) এবং মৃদুল ফরাজী(১৩) এদের ভিতর সিফাত এবং মৃদুল ফরাজী দুজনই উত্তর জাঙ্গালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র একজন নবম শ্রেণির অন্য জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। মামলায় তাদের প্রকৃত বয়স গোপন করে ভুয়া বসয় ১৮ দেওয়া হয়েছে। পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলার আসামি দুই কিশোর কে ফাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
উক্ত মামলায় দুই কিশোর কে আসামী করায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার সহ এলাকাবাসী।
মামলার আসামী পল্লী চিকিৎসক মোঃ হারুন হাওলাদার বলেন,আমি এই ঘটনার কিছুই জানি না এবং আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি গ্রামে দীর্ঘ ৩০ বছর সুনামের সাথে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করে আসছি। কিছু কুচক্রী মহল আমার সম্মান হানির জন্য আমি এবং আমার ছেলে সিফাত(১৪) কে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়েছে কহিনুর বেগম, তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই যদিও তিনি কেন মামলা দিয়েছে কেন তা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে মামলার আরেক আসামী মোঃ মন্নান হাওলাদারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি শুক্রবার দিন কাজে অন্যের বাড়িতে ব্যস্ত ছিলাম। এই ঘটনার সময়ে আমি ঘটনাস্থলে / বাড়িতেও ছিলাম না, আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রানি মূলক মামলার আসামী করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামী মোসাঃ নারগিস বলেন, আমি স্বর্ণ অলংকার নেয়া তো দূরের কথা আমি কাছেও যাইনি কেননা আমি মহিলা মানুষ বিধায় ঘর থেকে বের হইনা কিন্তু এরকম আমার নামে মামলা দিয়ে হয়রানি কেন করা হয়েছে তা আমি জানিনা।