মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে গলাচিপায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় শুক্রবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহীন শাহ নিজ কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে‘ দৈনিক যুগান্তর’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার “দৈনিক যুগান্তর” অন লাইন সংস্করণে সারা দেশের সংবাদে “ভিপি নুরের পর এবার নারী আইনজীবীকে পেটালেন সেই উপজেলা চেয়ারম্যান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যাতে উল্লেখ করা হয় উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরীর পুত্রবধূ নারী আইনজীবী উম্মে আসমা আখি বৃহস্পতিবার বিকাল দুইটায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌছলে মু. শাহীন শাহ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং চর থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে আখিকে বিবস্ত্র ও মানহানি করার হুমকি দেয়। যে সমস্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মু. শাহীন শাহ আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হল বৃহস্পতিবার উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৎস্য চাষি আ. লতিফ হাওলাদারের একটি মাছের ঘেরে পূর্ব শত্রæতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষি মৃত কয়েক বস্তা মাছ নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদের সামনে নিয়ে এসে কাদতে কাদতে উপজেলা চেয়াম্যানের কাছে যান। বিষয়টি অবগত হয়ে চেয়ারম্যান ইউএও, ওসি, মৎস্য কর্মকর্তা , উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়সহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। উপরিউল্লেখিত ব্যক্তিগণসহ শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ক্ষতিপ্রস্ত ব্যক্তি পূর্ব শত্রæতার জেরে ঘেরের মাছ মারা ও সবজী বাগান নষ্ট করার বর্ননা দেন।
বিষয়টি শুনে উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে চলে যান। এ ঘটনার কিছুক্ষন পর চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরীর পুত্রবধূ নারী আইনজীবী উম্মে আসমা আখি উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌছে মৎস্য চাষি আ. লতিফ হাওলাদার ও তার ছেলে মাকসুুদুল্লাহকে গালমন্দ করে ও নানা ধরনের ভয় ভীতি দেখায়। ডাক চিৎকার শুনে উপজেলা চেয়ারম্যান মু. শাহীন শাহ তার কার্যালয়ের দোতলা থেকে নিচে নেমে আখিকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। এতে আখি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে তর্কাতর্কি করেন। এসময় এক নারী সাংবাদিক আখিকে ঘটনাস্থল থেকে টেনে নিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটোসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি আ. লতিফ হাওলাদার ও তার ছেলে মাকসুদুল্লাহ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “ চেয়ারম্যান দুলাল চৌধুরী ও তার ছেলে রাসেল চৌধুরীর প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসী সেলিম, সাহিন, আশ্রাব, সামসু , মিলন, মন্নান ও ফেরদাউস বাপ ছেলের হাত পা বেধে সবজী ক্ষেতের এক হাজারের বেশী গাছ নষ্ট করে ফেলে।
মাছ এবং সবজীসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা থানায় মামলা করি। এরপর রাসেল চৌধুরী মোবাইল ফোনে অমাদের হাত পা ভেঙ্গে খুন করার হুমকি দেয়।” এঘটনায় মাকসুদুল্লা রাসেল চৌধুরীর বিবুদ্ধে গলাচিপা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। রাসেল চৌধুরী ও উম্মে অসমা আখির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায় নি।