মামুনুর রশীদ নোমানী : চারিদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক চলছে লকডাউন। দুঃসময়ে দিনপার করছে মানুষ। এ দু:সময়েও জনগণের পাশে নেই জনগণের নেতা জননেতা দাবীদাররা। ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’ নীতিতে ঘাপটি মেরে বসে আছেন। অবশ্য কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ বিতরণ করে ফটোসেশনের মধ্যে বিশাল দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন।
এমন অবস্থা ব্যাতিক্রমদের একজন মানবতার ফেরীওয়ালা খন্দকার লাভলী । করোনাভাইরাসের শুরু থেকে স্বরুপকাঠীর অজপাড়া গাওঁয়ে সুরক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। লকডাউন শুরু হবার পর মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। ককনো খাবার নিয়ে। আবার কখনো নগদ টাকা নিয়ে আবার কখনো সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে অংশ নেন।
প্রতিদিন সকালে খাদ্য সামগ্রী বিতরণতো বিকেলে ইফতারীর প্যাকেট নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন। খোঁজ রাখছেন অসহায়র ও দুস্থ্য মানুষ জনদের। শুধু মানুষ নয় পথের বিড়াল কুকুরের জন্যও খাদ্য বিতরণ করেছেন খুব নিরবে । ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য সচেতনমুলক কার্য্যক্রম করে যাচ্ছেন এখনো। লাভলী খন্দকারের এমন কর্মকান্ডে খুশী সকলে।
খন্দকার লাভলী। হাসি খুশি এক রাজনীতিবিদ। তিনি পিরোজপুর জেলা মহিলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্বরুপকাঠী উপজেলা যুব মহিলালীগের যুগ্ন আহবায়ক।
অসহায় মানুষগুলোর মুখে তৃপ্তির হাসিকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিদান উল্লেখ করে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে খন্দকার লাভলী বলেন,সবসময় চেষ্টা করি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। দেশের বিত্তবানরাও গরীব-দুঃখী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
হাসি মুখে কথা বলতে বলতে তিনি জানান,জাতীর এই কঠিন সময়ে সকলকে এগিয়ে আসা দরকার। কারণ মাথা উচুঁ করে সকলের এ লড়াই দেশকে রক্ষায় আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমারা নিজস্ব তহবিল থেকে এসব সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এসব কার্যক্রম সামনেও অব্যাহত থাকবে।এছাড়া তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামিলীগ নেতা ও পিরোজপুরের জনন্দিত মেয়র আব্দুল মালেক ও স্বরুপকাঠীর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ দু নেতা সহায়তা করেছেন। প্রতিনিয়ত আমাদের খোজ খবর নিচ্ছেন।