মামুনুর রশীদ নোমানী : চারিদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চলছে লকডাউন। দুঃসময়ে দিনপার করছে মানুষ। এ দু:সময়েও জনগণের পাশে দাড়িয়েছেন মানবিক এক মানুষ হাফিজ আহমেদ বাবলু। বরিশালের রাজনৈতিক এই ব্যক্তিত্ব জড়িত রয়েছেন আইন পেশার সাথে। এছাড়া তিনি জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’ নীতিতে ঘাপটি মেরে বসা নেতা নন তিনি। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের পর থেকে রাতের আঁধারে খুব গোপনে মানবতার উপহার দিয়েছেন অসহায়, দুস্থ্য লোকদের। এ ছাড়া দলীয় লোক যারা অভাব অনাটনে ছিলেন তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। অবশ্য কেউ কেউ দলীয় দেয়া ত্রাণ বিতরণ করে ফটোসেশনের মধ্যে নিজরনামে চালিয়ে দিয়েছেন। সব সময়ই ব্যতিক্রম ও দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। ব্যাতিক্রমদের একজন মানবতার ফেরীওয়ালা এ্যাডভোকেট হাফিজ আহমেদ বাবলু ।
করোনাভাইরাসের শুরু থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে সুরক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। লকডাউন শুরু হবার পর মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। কখনো খাবার নিয়ে। আবার কখনো নগদ টাকা নিয়ে আবার কখনো সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে।
প্রতিদিন সকালে – রাতে -দুপুরে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন। খোঁজ রাখছেন অসহায় ও দুস্থ্য মানুষ জনদের। ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য সচেতনমুলক কার্য্যক্রম করে যাচ্ছেন এখনো। হাফিজ আহমেদ বাবলুর এমন মানবিক কর্মকান্ডে খুশী সকলে। বাবলু । হাসি খুশি এক তরুন ও দক্ষ রাজনীতিবিদ।
তিনি বরিশাল জেলা যুবদলের সাংগঠনিক। এছাড়া বহু সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
অসহায় মানুষগুলোর মুখে তৃপ্তির হাসিকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিদান উল্লেখ করে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন,সবসময় চেষ্টা করি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। দেশের বিত্তবানদের গরীব-দুঃখী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
হাসি মুখে কথা বলতে বলতে তিনি জানান,জাতীর এই কঠিন সময়ে সকলকে এগিয়ে আসা দরকার। কারণ মাথা উচুঁ করে সকলের এ লড়াই দেশকে রক্ষায় আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘একটু উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিতে পারে সফলতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুঃস্থ নেতাকর্মীদের মাঝে তুলে দিয়েছি
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ মানবতার উপহার।
বাবলু জানান, আমি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রথম ধাপে ১৫০ জন সাধারণ মানুষ ও দলীয় ৫০ জন। দ্বিতীয় ধাপে ৫০ জন নেতা কর্মীদের যারা মারা গেছেন তাদের বাসায় খাবার পৌছে দিয়েছি।
৩য় ধাপে ঈদ শুভেচ্ছা উপহার ৬০ জনের বাসায় দেয়া হয় । এসময় বাবলুর সাথে ছিলেন,যুবদল বরিশাল জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উলফৎ রানা রুবেল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান ও তরিকুল ইসলাম পাভেল প্রমুখ।