‘মাঝের চর’ পিরাজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের একটি অংশ। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বলেশ্বর নদীর মাঝে এ দ্বীপটি হওয়ায় এর নামকরণ হয়েছে মাঝের চর। সরকারি বনায়নের পাশাপশি রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার নারিকেল গাছ। সরকারি এ সম্পদ রক্ষার জন্য রয়েছে বন বিভাগের কার্যালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর লাখ-লাখ নারিকেল হয় মাঝের চরে। এখানকার চারপাশে বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকার করা হয়। এ মাঝের চরটি ইজারা দেওয়া হলে সরকারি তহবিলে আসত প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা। তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত উজার হচ্ছে বন। লুট হচ্ছে চরের বিভিন্ন ফল-ফলাদি। অবাধে শিকার করা হচ্ছে নদীর মাছ।
সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইজারা না দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে জনৈক মো. রফিকুল ইসলাম বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন হোসেন আকাশ জানান, কিছুদিন পরপর কার্গো জাহাজে করে ডাব কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। কে বা কারা ডাব কেটে নিচ্ছেন তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। ইতোমধ্যে বনের ভিতরে বড়-বড় গাছ পাচার হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ডাব বিক্রি, মাছ শিকারের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, মাঝের চর কখনই ইজারা দেওয়া হয়নি।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন বলেন, মাঝের চর ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।