সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঈদ সামনে রেখে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ভিড় বাড়লেও এ রুটে বাড়ানো হয়নি কোনো লঞ্চ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন এ রুটের চলাচল করা যাত্রীরা।
লঞ্চ ও সি-ট্রাকের অভাবে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। বিপজ্জনক এ নৌরুটে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে। এতে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। তাই ওই সব অঞ্চলের যাত্রীদের ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট ব্যবহার করতে হয়। এ নৌরুটটি ডেঞ্জার জোনের আওতায় থাকায় শুধুমাত্র সি-ট্রাক ও সি-সার্ভে সনদধারী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়লেও এ রুটে বাড়ানো হয়নি কোনো লঞ্চ। বর্তমানে এ নৌরুটে দুটি সি- ট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রীর চাপ কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। তাই যাত্রীরা বাধ্য হয়েই ছোট ছোট ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আসা মানুষকে চরম দুর্ভোগ উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
যাত্রী তানিয়া রহমান বলেন, এ নৌরুটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এখানে লঞ্চ কম থাকায় মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মাকসুদ রহমান ও ফারুক বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে লঞ্চ বাড়ানো হয়নি, তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রলারে যাতায়াত করছে।অভিযোগ উঠেছে, ঈদকে সামনে রেখে এ রুটে লঞ্চ বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এক শ্রেণির প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছে। অভিযান না থাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধ ট্রলারে যাত্রী পারাপার বন্ধে অভিযান চলছে জানিয়েছেন ইলিশা নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, লঞ্চ সংকট থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।
ভোলা নৌ বন্দরের বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে খুব শিগগিরই আরও তিনটি লঞ্চ দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের এমন ভোগান্তি থাকবে না।