ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, ত্যাগ কিংবা অমরত্ব
কেবলই কথার জারিজুরি,
কেবলই বাহবা কুড়ানোর পায়তারা।
যে ধর্ম আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে না,
যে আইন আমাকে বাধ্য করে না,
যে স্বপ্ন আমাকে বিভোর করে না,
যে কান্না আমাকে সজাগ করে না,
কি হবে বড় বিদ্যান সেজে?
সম্প্রদানে যদি প্রতিদান খুঁজি,
কল্যাণে যদি কারো অকল্যাণ হয়,
স্বাধীনতা যদি আমাকে নির্বাক করে,
পাপী-র গর্জন যদি আমাকে নিশ্চুপ করে,
কি হবে বড় মানুষ হয়ে?
মানুষ না-কি সৃষ্টির সেরা জীব!
সকল জীবের বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারে মানুষ;
এর বৈ কিছু নয়।
ইতরবিশেষ প্রাণীরও ধর্ম আছে,
কিন্তু মানুষের ধর্ম নেই,
নিয়ম ভাঙতে তাই নিত্য নিয়ম গড়া।
যখন অন্যকে আকৃষ্ট করার বিদ্যে অর্জন করতে হয়,
যখন অন্যকে সম্বোধন করার বিধিবিধান রপ্ত করা লাগে,
যখন জীবিকানির্বাহ করার মধ্যে থাকে উঁচু-নীচু ভেদ,
যখন একই পতাকাতলে হয় বংশের বিভেদ,
তবে আমি মানুষ কেন?
যখনই আমার মস্তিস্ক দুনিয়ার ইতিবাচক শব্দগুলিকে নিয়ে খেলা করে,
যতক্ষণ আমার ধমনী শিহরিত হয় মিথ্যের ধুম্রজালে,
ততক্ষণই আমি বিভ্রান্তিতে থাকি,
ততক্ষণই আমি ক্লান্ত থাকি।
মিথ্যে বিদ্যে শিক্ষার চেয়ে,
মূর্খতা ঢেড় ভালো নয় কি?
লেখক :শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও এনজিও ব্যক্তিত্ব।
বরিশাল।