হতাম যদি দ্রোহের কবির লড়িবার অঙ্কুশ;
তবে শতাব্দীর আকাল কীলক চাড়িয়া
অয়স পেটীতে কয়েদি করিয়া,
ফেলিতাম মহা সিন্ধুর পাকে
ফুরাতো দুর্ভোগ লেশ ।
আমি হতাম যদি দুর্বীনিত
অংশুমালীর তেজ;
মম তির্যকে সব দারিদ্র্য পুড়াইয়া
উত্তপ্ত লাভার স্রোতে ভাসাইয়া,
চুরুলিয়ায় গড়িতাম বিত্ত প্রাসাদ নামে মহাকাব্যিকের ।
আমি হতাম যদি বসুন্ধরার সিদ্ধি রণপুত;
তবে মন্দা ঘটিকার মাথা মুড়িয়া
রিক্ত হালের মুখে কুলুপ আঁটিয়া ,
ক্রচকে ছাঁটিতাম তক্ষক ন্যায়
যতো গেঁটে অকিঞ্চন গিট ।
হতাম যদি সাম্যবাদীর যতসামান্য অর্থ ;
বন্ধক মুক্ত করিতাম পান্ডুলিপি
তাঁর ঘুচাতাম অভাবী গৃহচিত্র।
অসহ্য অনটনের টুটি চাপিয়া
জিজ্ঞাসিতাম আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধিয়া,
সেদিন কেনো পোহাতে হয়েছিলো
পড়ে টানাপোড়া দুর্দিন।
যদি হতাম বিধির কৃপার এক মহাঔষধি;
তবে মহামারীর প্রতিষেধক হইয়া
নির্মূল করিতাম সমর ব্যাধিটা,
নেহারি আমায় অশনি বিমার
ভাগিত সুরসুর ।
হতাম যদি গরজ,বৈভবের অভিকর্ষ শক্তি;
পুলকে ঠমকে ধৃতে কৈফিয়ত চাহিয়া,
ভাঙ্গিতাম গোক্ষুর,ধরিতাম টিকিটা,
বিনে কসুরে কেনো রূধির ফেলিছে
চির উন্নত শীরের।
আমি কলমে ছুঁড়িবো বোধের কার্তুজ
বধিবো নিপীড়ন, ক্লেশ কিম্ভূত,
কালের দৈন্যতার ব্যামো রুখিয়া
দানিতে কুবের দুর্গ।
তাই হতে চাই নজরুলের দুর্বিসহ সময়ের
এক ব্যতিক্রমী সৃজন প্রতুল সংঘ।