বাবুগঞ্জে আ’লীগ নেতার উপর হামলা : ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম বাবুলের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে বেপারীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হামলায় আহত আজিজুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী ফাতেমা খানম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নূরে আলম বেপারী (৫০) কে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও কেদাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতের দিয়া গ্রামের মো.সিহাব উদ্দিন(৩০) পিতা-শামসুল হক মৃধা, মো. নাঈম (৩০) পিতা-মো. নেসার উদ্দিন, ভূতেরদিয়া গ্রামের মো. মানিক শিকদার(৩২) পিতা-মৃত নাজেম শিকদার, মো. শিহাব উদ্দিন রাজু (৪৫) পিতা-নুরুল হক, মো. সাইফুল ইসলাম(৪০) পিতা-আব্দুর রশীদ বেপারী, পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের মো. জাকির হোসেন (৪০)পিতা-আব্দুল রশিদ শিকদারসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, বিবাদীদের সাথে ভূতেরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পূর্বে বিরোধের জেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্থানীয় স্টীমারঘাট বাজারের মধ্যে জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ও সেলিমের দোকানের সামেন পরিকল্পিতভাবে অবস্থানরত কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারীসহ উল্লেখিত আসামিরা আওয়ামীলী নেতা আজিজুল ইসলাম বাবুলের উপর হাতুরী ও লাঠিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় হামলা চালায়। এসময় তাঁকে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুইশত গজ দূরে আসামী নূরে আলমের বাসভবনে টেনে হিচরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে গলায় গামছা পেচিয়ে শ^াসরোধ রোধ করার চেষ্টা করে। এসময় আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম বাবুলের ডাক চিৎকারের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক অ হামলায় আজিজুল ইসলাম বাবুলের মাথায়, ডান হাতের কনুই ও হাঁটুতে মারত্বক জখম হয়েছে। বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুবুরর রহমান জানান, গন্ডগোলের সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থালে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এ হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে মাঠে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। কেদারপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান-ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সরকারের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে ইউনিয়নে কোনো কাজ না করে সরকারি বরাদ্দের সবকিছু আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও ইতিপূর্বে সরকারী চাল কালো বাজারে বিক্রির সময় র্যাব-৮ এর একটি টিম চালসহ তার দুই ইউপি সদস্যকে আটক করে জেল হাতজতে প্রেরণ করেন। এঘটনায় নূরে আলম বেপারীর নামে মামলা হলে তিনি জেল খাটেন এবং সাময়িক বরখাস্ত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন,অবৈধ ইট ভাটা স্থাপন করে কেদারপুরে একাধিক ব্যক্তির জমি দখল, মানুষের গরু চুরিসহ বিভিন্ন অবকর্মের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। এতসব অভিযোগের পরও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চেয়াম্যান নূরে আলম।