বানারীপাড়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার অত্যাচারে অতিষ্ট এক পরিবার : উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:০১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নাঈম মোঘল বানারীপাড়া, প্রতিনিধিঃ বানারীপাড়ায় এক মুক্তিযাদ্ধার অত্যাচার অতিষ্ট এক পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নির্যাতিত রঞ্জু বেগম জানান উপজেলার সদর ইউনিয়নর ব্রাম্মনকাঠী এলাকার মৃত নওয়াব আলীর ছেল মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসছেন।বিগত দিন ধরে রঞ্জু বেগম তাদের পরিবারের সাথ জমিজমা নিয়ে আঃ খালেকদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
সম্প্রতি ওই বিরোধের জের ধরে রঞ্জু বেগমের আত্মীয়স্বজনদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রঞ্জু বেগমের মেয়ে জামাইকে আসামী করলে গত বুধবার কোর্টে হাজিরা দিয়ে আসার পর সন্ধা ৬.৩০ মিনিটি রঞ্জু বেগমের মেয় তার জামাইকে আসামী করা নিয় ঘরে বসে আলাচনা করলে বাড়ীর পাশ দিয় হাটে যাওয়ার সময় আঃ খালেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময়ে রঞ্জু বেগম প্রতিবাদ করলে আঃ খালেক(৬৫), তার ছেলে ইমরান(২২), বাবু(১৯) ও সাদেক হাওলাদারের ছেলে তাইজুল তাকে চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময়ে রঞ্জুর চিৎকার করলে তার ছেলে হাবিব মাকে বাচাতে ছুটে আসলে তাকে মারধর করে ও রাস্তায় ফেলে নির্যাতনের পর একপর্যায় দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযাগিতায় তাদের উদ্ধার করে বানারীপাড়া স্বাস্থকমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়েছে।
নিরুপায় রঞ্জু বেগম অত্যাচারী আঃ খালেকের বিচার চেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। অত্যাচারী আঃ খালেকের মুক্তিযোদ্ধার মত গর্ভীত মর্যাদায়ক অপব্যাবহার করে এছাড়াও আবৈধ ইজিবাইকের পিছনে মুক্তিযোদ্ধা সাইন বোর্ড ব্যাবহার করে এলাকায় অসহায় পরিবারের উপর নির্যাতনের রশি টেনে ধরতে রঞ্জু বেগম উপজেলা প্রশাসন,শিক্ষা অফিসার সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানান।
এদিক গোপন সূত্রে জানাগেছে আঃ খালেক প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা নয়। তার গেজেএ নং ২৭৬৯ ও মুক্তিবার্তা/লাল বই নং ০৬০১০৮০৩৬৯ থাকলেও মন্ত্রনালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত কোন সনদ নেই বলে তথ্য পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিছুক কিছু মুক্তিযোদ্ধা জানায় সে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করছেন কিংবা কোন কমান্ডারের আওতায় যুদ্ধ করছেন আমরা জানিনা।
এদিকে মোঃ হানিফ সরদার নামে এক ব্যাক্তি জানান তার বাবা মৃত আঃ খালেক ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালর পরে তার বাবা উপার্জনের জন্য ঢাকায় পাড়ি জমালো একই নামধারী ওই আঃ খালেক একই গ্রামে ও একই নাম হওয়ায় এবং রক্ষীবাহিনিতে এক সাথে কাজ করায় প্রতারনা করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার চষ্টা চালিয়ে আমার বাবার কাগজপত্র ব্যাবহার করে সফল হন। যে কারনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হানিফের বাবার পরিবার আজও মু্ক্তিযোদ্বার সকল সুযাগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
একটি বিশ্বস্তসূত্র আরা জানা গেছে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ খালেকের মুক্তিযোদ্ধার ভাতা চ্যালেঞ্চ করে প্রায় এক বছর পূর্বে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবদন দিয়ে ছিলেন।