স্টাফ রিপোর্টার || বানারিপাড়ার পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজেশ করে ঘুষের বিনিময়ে নকশা অনুমোদন করায় লিখিত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী।মাহমুদুর রহমান রেজা তার বাবার পক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারি ডাকযোগে এ অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়,’ ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বানাড়ীপারা পৌরসভা কার্যালয়ের নকশা অনুমোদনের আবেদন ফরম যথারীতি নিয়ম অনুসারে পূরন করে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক বানাড়ীপারা শাখায় পাচশত টাকার ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিয়া আবেদন সম্পন্ন করেছিল ভুক্তভোগীর বাবা এ্যাডভোকেট জাকির।অথচ, কার্যালয়ের নির্বাহী শাহীনা আক্তার প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজশ করে মোটা উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে প্রথম করা নকশা অনুমোদনের আবেদন ফরমের কোন ব্যাবস্থা না নিয়েই দেওয়ানী মোকাদ্দমা চলা অবস্থায় প্রতিপক্ষ শহীদুল ইসলাম লাইসের ত্রুটিযুক্ত প্লান ১৭/৮/২০২০ তারিখে জেনে শুনে অনুমোদন করিয়ে দেন। অথচ নকশা অনুমোদনের বিষয়ে একাধিক বার তথ্য জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে গড়িমসি করেন। এবং ৭/১২/২০২২ তারিখে ডাকযোগে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করলেও নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার কোন ব্যাবস্থা তিনি গ্রহণ করেননি।
অবশেষে, চুরান্ত হয়রানি করার জন্য সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার টাকা জমা দেয়ার বিধিবিধান দেখান।তখন ভুক্তভোগী আবার ১৮/১২/২০২২ তারিখে ফের ১০০০ টাকা জমা দেয় অভিযোগ আমলে নিতে।কিন্তু তাও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি কতৃপক্ষ।’
সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় তথ্য জানতে গেলে মৌখিক কোন তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয় বলে শহিদুল ইসলাম লাইসের একটি প্লান অনুমোদন করা আছে বলে স্বীকার করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। তবে বাকি অভিযোগ ও মামলা চলা অবস্থায় প্লানের অনুমতির বিষয় জানতে চাইলে কোন তথ্য লিখিত ছাড়া দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
সূত্রমতে, ১৭/৮/২০২০ তারিখে বানারিপাড়া পৌরসভা কতৃপক্ষ শহিদুল ইসলাম লাইস এর পক্ষে ভবন নির্মাণ এর অনুমোদন দেওয়া হয়।প্রতিবেদকের হাতে সে প্লান এসেছে।তাহলে ৭/১২/২০২২ তারিখে অভিযোগ এর কোন উত্তর বা ব্যাবস্থা না নিয়ে তথ্য গোপন করে ১৮/১২/২০২২ ইং একই জমিতে প্লান অনুমোদনের জন্য পৌরসভা বরাবর ভুক্তভোগী প্লানের ফি বাবদ টাকা জমা দেয়ার নির্দেশনার কারন কি,তার কোন সদুত্তর মেলেনি কর্মকর্তা শাহীনা আক্তারের কাছ থেকে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন ‘দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাদের নকশা অনুমোদনের আবেদন চাপাইয়া রেখে, শহিদুল ইসলাম লাইস এর নকশা অনুমোদন করে দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়র।আমাদের প্রতিপক্ষ শহীদুল ইসলাম লাইস এবং নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার ও তার স্বামী ওয়াহেদুজ্জামান প্রতিবেশী।এজন্য সহজেই ঘুষের মাধ্যমে কাজটি তিনিই করেছেন।আমরা তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব এর কাছে।এরপর মামলা করবো আদালতে।