বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের অালতাফ খান এর পুত্র লুৎফর খানের নানা কূটকৌশল-বুদ্ধির ফাঁদে পা দিয়ে গ্রামীণ এলাকার সহজ-সরল মানুষ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অহরহ। এমন কি শিক্ষিত সচেতন বাসিন্দারাও তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে । শক্তপোক্ত ভাবে এই প্রতারণার চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক যুগ ধরে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এমন এক প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে খোদ বাকেরগঞ্জ ভরপাশা ইউনিয়নে।
এই প্রতারক চক্রের প্রধান লুৎফর খান, তার নানা কিসিমের প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভরপাশা ইউনিয়ন বাসী। আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম প্রতারণা ও দালালির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
ওই প্রতারক লুৎফর খান তার প্রতারণার রাস্তা প্রশস্ত করতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দালাল চক্রের সদস্য হিসেবে টিম গঠন করেছেন । ব্যাংক দালালির মধ্য দিয়ে লুৎফর খানের আগমন হলেও তার দৌরাত্ম্য এখন প্রতারণার মাধ্যমে পাহাড় ছুঁয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ও বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদ খানের ছত্রছায়ায় থেকে লুৎফর খান এর লাগামহীন অপকর্মে ও প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভরপাশা ইউনিয়ন বাসী।
জমি ক্রায়, বিক্রী, সরকারের খাস জমি রেকর্ড করে কার্ডের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভরপাশা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত আলাল উদ্দিন খান, অালতাফ খান, ও জালাল খান তাদের মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি, অালাল উদ্দিন খান, ও অালতাফ খানের মৃত্যুতে তার ওয়ারিশগণ লুৎফর খানের মাধ্যমে গত ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বাকেরগঞ্জ রেজিস্টার অফিসে জমি বিক্রি করে রেজিস্ট্রি হয়।
গ্রোহিতা- আব্দুল্লাহ আল রুমি পিতা মোঃ হারুন-অর-রশিদ। দাতা গনঃ অালাল উদ্দিন খান,ও তার ভাই অালতাফ খান এর ওয়ারিশগণ।
ওই দলিলে অালাল উদ্দিন খানের চারজন ওয়ারিশ স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন। স্বাক্ষর দেয়ার পূর্বে ঐ চারজনকে প্রতারক লুৎফর ৮ শতাংশ জমির দলিল করা হবে বলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে আসে। এবং তাদেরকে বিক্রয় মূল্য ৫ লক্ষ টাকার কথা বলা হয়। অথচ দলিলে স্বাক্ষর করতে গেলে রেজাউল করিম দলিলে লেখা দেখেন খতিয়ান ১৩৩০,১৩২২। দাগ ৩৭০০,৩৭০১,৩৭০৬,৩৭৭৭,৩৭৭৮,৪০৮০,৪১০৮,৪১১৩,৪১২৯,৪১৩১,৩৭৩৩,৩৭৪৩,৩৭৯৬,৩৯৫৭,৩৯৬০,৩৯৮৩,৪০৪৩,৪১৯৯ দাগ থেকে মোট ১৭ শতাংশ ১৩ পয়েন্ট জমি বিক্রি করা হচ্ছে।
রেজাউল করিম দলিলে স্বাক্ষর দিতে অপারগতা জানালে লুৎফর খান তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেয় স্বাক্ষর না দিলে বাড়িতে উঠতে দিবে না। বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলে স্বাক্ষর করা হলে তাদেরকে তাদের পাওনা সঠিক মত বুঝিয়ে দেয়া হবে। অথচ সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা জমি বিক্রি করা হলেও প্রতারক লুৎফর খান রেজাউল করিম, মিনারা বেগম, মমতাজ বেগম, হালিমা বেগম কে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা দেন। তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে বলে এই বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করিলে তাদেরকে বাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হবে। এই অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অডিও কল রেকর্ড সাংবাদিকদের হাতে সংরক্ষিত আছে প্রয়োজন হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
অপরদিকে ২০১৭ সালে বি এস রেকর্ড জরিপ আসলে তৎকালীন সময়ে ভরপাশা ইউনিয়ন এর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সরকারের খাস জমি কার্ড করার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়ার নামে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার শিকার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোকসেদ আলী খানের পুত্র হাবিব খানের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা, পান্না মুন্সির থেকে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা,জাফর খানের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকা নিলেও ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে কয়েকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বিভিন্ন কিসিমের প্রতারণার শিকার হয় অনেকেই ভয়ে মুখ খুলছেন না।
প্রতারক লুৎফর খানের প্রতারণার শিকার তার ছোট চাচা জালাল খান অভিযোগ করে বলেন চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন ঢাকাতেই বসবাস করছি তাই গ্রামে তেমন যাওয়া হয়না সেই সুযোগে প্রতারক লুৎফার খান তার সুযোগ মত আমার পৈতৃক সম্পত্তি তার নিজ নামে রেকর্ড করেছেন আমি এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।