বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ থানাধীন পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রগুনাথপুর গ্রামের ওয়ার্ড নং -৯, বাসিন্দা হাজী আরশাফ মুনশি এর দৌহিত্র রবিউল(১০) ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সকাল আনুমানিক ৬.৩০ মিনিটে বাড়ীর পিছনের বাগানে ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়,, পরবর্তী তে রবিউল(১০) কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইউনিটে
কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল এর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে সোপর্দ করেন। এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান রবিউলের শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ,,অতিরিক্ত বিদ্যুৎ এর সক এর কারনে তার ডান হাত এবং দুই পায়ের ভেইন সংঙ্কচিত হয়ে গেছে এবং তার হাত পা বাঁকা হয়ে গেছে,, এবং তার হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া সঠিক ভাবে কাজ করছে না,, রবিউলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরবর্তীতে সকাল ১১ ঘটিকায় রবিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্য রওনা হয়।
এদিকে রবিউলের দাদা হাজী আরশাফ মুনশি জানান,, তার নাতী রবিউল বাড়ীর পিছনে ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়,,, গ্রামবাসী জানান যে বিগত এক বছর
যাবত এই গ্রামে বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ এর লাইন টানা হয়ছে, তবে উক্ত লাইনে সম্পূর্ণ কাজ শেষ না হতেই বাকেরগন্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সঞ্জয় রায় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির নিকট থেকে ঘুষের বিনিময়ে ১৭/৯/২০১৯ ইং রঘুনাথপুর গ্রামের বাষবৈন্না এলাকায় বিদুৎ সংযোগ চালু করেন,,, তবে ফকিরতম্ব এলাকায় বিদুৎ এর গ্রাহকদের মিটার দেয়া সম্পন্ন হয় নাই এবং বিদ্যুৎ লাইনের উপর অনেক গাছ এর ডাল পালা আছে,, এবং অনেক এবং গাছের ডাল বিদুৎ এর তারের উপর পরে আছে এ বিষয় গ্রামবাসি একাধিক বার ডিজিএম সঞ্জয় রায় এর কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়া সত্বেও সঞ্জয় রায় তা কর্নপাত না করে, সে টাকার বিনিময়ে এই ঝুকিপূর্ণ লাইনে বিদ্যুৎ চালু করেন,,, বিদ্যুৎ চালুর বিষয় গ্রামবাসীকে কোনো আগাম সতর্ক করা হয় নি,, কোন মাইকিং অথবা লোক মারফত বিদুৎ এর সংযোগ চালুর কথা জানানো হয় নি,,, ডিজিএম সঞ্জয় রায় এর খামখেয়ালির বলি আজ রবিউল,,, গ্রামবাসী অভিযোগ ডিজিএম সঞ্জয় রায়ের জন্য এই বিদ্যুৎ গ্রামের আশির্বাদ না হয়ে অভিশাপে রুপ নিয়েছে। গ্রামের অনেকেই বিদ্যুৎ এর ভয়ে ঘরে থাকতে পারছে না,, কারন ঘরে মিটার নেই তারের অপরিকল্পিত ভাবে লাইন টানা এবং বিভিন্ন ঘরে বিদ্যুৎ এর খাম্বা থেকে তারের সংযোগ ঘরে এসে ঝুলে রয়ছে যেকেউ যেকোনো মূহুর্তে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হতে পারে। এখন বড় রঘুনাথপুরের ফকিরতম্ব এলাকার জনগনের একটি মাত্র চাওয়া অতিদ্রুত বিদ্যুৎ এর অসমাপ্ত ত্রুটিপূর্ন কাজ এবং গ্রাহক মিটার প্রতিটি ঘরে স্থাপন করে সঠিক ভাবে মাঠপর্যায়ের এসে চেক করে করে বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুৎ চালু করতে হবে। না হয় রবিউলের মতন পরিকল্পিত দূর্ঘটনার প্রতিনিয়ত ঘটবে। বড় রগুনাথপুর গ্রামের জনগনের দাবি রবিউল বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হওয়ায়র পিছনে প্রতক্ষ ও পরক্ষ ভাবে বাকেরগন্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সঞ্জয় রায় এবং এজিএম উভয় দায়ী। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছেন এলাকার সাধারন জনগন। রবিউলের বাবা কানাডা প্রবাসী আল-আমিন মুঠোফোনে জানান তার পরিবার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম,,এজিএম এর বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।