বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সরকারী ঘর পেতে জনপ্রতি ২০হাজার টাকা দিয়ে পেল শুধু রুয়া-চেড়া
প্রকাশ: ৯ মে, ২০২০, ৮:৩২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল ইউনিয়নে সরকারী ঘর পাইয়ে দিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এভাবে পায় ৩০ জনের কাছ থেকে টাকা নিলেও তাদেরকে দেওয়া হয়েছে শুধু রুয়া-চেড়া ও কয়েকটি খুটি। দেড় বছরের অধিককাল ঘুরিয়ে এসব অসহায় মানুষকে আরো বিপদে ফেলেছে দাড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যানের একান্ত সহচর শামীম আকন। গণমাধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এক ভুক্তভোগী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে খোকন মুন্সির মাধ্যমে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে চেয়ারম্যানের লোক শামীম আকন। এরপর আরো ৫ হাজার টাকা দাবী করেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর কিছু রুয়াচেড়া ও কয়েকটি খুটি দিলে তা দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্ত এরপর অদ্যাবধি দিচ্ছি দেব করে আর দেয়নি। আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘর, সৌর বিদ্যুৎ ও টয়লেট দেওয়ার কথা ছিল। এভাবে আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যানের লোকজন।
এদিকে করোনা মহামারীর মধ্যে একদিকে ঘর নেই, অপরদিকে নগদ সম্বলটুকু ঘরের জন্য চেয়ারম্যানের লোকজনকে দিয়ে বিপাকে রয়েছেন এসব পরিবার। কেউবা স্বপরিবারে পারি জমিয়েছেন ঢাকায়। এমন একজন ভুক্তভোগী বলেন, বাড়িতে একটি ঘরের শুধু খুটি দিয়েছে। তাই থাকার ব্যবস্থা নাই। ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ব পরিবারে আছি এবং এখানে রিক্সা চালাই।
এ বিষয়ে দাড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ জব্বার বাবুল বলেন, শামীম আকন আমার পরিষদের কাজবাজ দেখাশুনা করেন। ঘরের মাটি কাটার জন্য হয়তো কিছু টাকা নিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০/২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমার নলেজে নাই। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আপনার কাছে কোন তালিকা থাকলে নিয়ে আসেন, দেখে ব্যবস্থা নিব।