স্টাফ রিপোর্টার : বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের মৃত আঃ খালেক চৌকিদারের পুত্র এনামুল হক চৌকিদার সোনাকান্দা ও মাছুয়া খালী গ্রামের অসহায় দুস্থ্য দরিদ্র লোকদের কাছ থেকে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কাউকে সরকারি ঘর, কাউকে বয়স্ক ভাতা,কাউকে বিধবা ভাতা,কাউকে বৃত্তি ,আবার কাউকে গভীর নলকুপ পাইয়ে দিতে লাখ লাখ টাকা প্রতারনা করে আত্মসাত করেছে। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পিলে চমকানোর মত। সোনাকান্দা ও মাছুয়াখালী গ্রামটি নদী ভাঙ্গন কবলিত গ্রাম। এখানের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তাদের পেশা মাছ ধরা কিংবা দিনমজুর। এনামুল হক চৌকিদার একজন ধুরান্ধর লোক। সহজ সরল মানুষদের সরলতাকে পুঁজি করে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা সুদে খাটিয়ে আয় করছে। এছাড়া সেই প্রতারনার টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করে হয়েছেন একজন গরু ব্যবসায়ী। টাকা ফেরতের দাবী করেছে ভুক্তভোগীরা।
এনামুল হক চৌকিদার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোনাকান্দা গ্রামের জয়নাল আবেদিন আকনের স্ত্রী শাফিয়া বেগম থেকে ৬ হাজার টাকা, আব্দুস সাত্তার কারিকরের স্ত্রী আমিনা খাতুনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা , মোসাম্মদ মাফিয়া বেগমের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার জন্য তার পুত্র হাফেজ মোঃ বশির আহমেদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা, সাহের আলী কারিকরের পুত্র আব্দুল মালেক কারিকর থেকে দশ হাজার টাকা, সয়জদিন কারিকর থেকে ৬ হাজার পাচঁ শত টাকা, ছয়জদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম থেকে ১৩ হাজার টাকা নিয়েছে বয়স্ক ভাতা করে দেয়ার জন্য কারো বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়নি এনামুল চৌকিকার।
এদিকে মাছুয়াখালী গ্রামের চেরাগ আলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ রাজ্জাক হাওলাদারের কাছ থেকে বয়স্কভাতা বাবদ ৬ হাজার টাকা এবং সরকারী ঘর পাইয়ে দেয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা , হোসেন খলিফার পুত্র মোঃ নুর ইসলাম খলিফার কাছ থেকে সরকারী ঘর দেয়ার কথা বলে ১৭ হাজার টাকা,সোনাকান্দা গ্রামের মোঃ জাকির কারিকরের স্ত্রী
ছাহেরা বেগমের থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার টাকা নিয়ে একটি ভূয়া জম্ম নিবন্ধন করে দেয়।এ ভূয়া জন্মনিবন্ধন নিয়ে অনেক হয়রানীর শিকার হয় ছাহেরা বেগম। ছাহেরার মত ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ৮ শত টাকা নিয়ে আব্দুস ছোবাহান কারিকরের পুত্র
মোঃ আব্দুল মোতালেব কারিকরকে করে দেয়।
চর সোনাকান্দা গ্রামের আঃ ছওার আলী কারিকরের পুত্র আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৬ হাজার পাঁচশত টাকা নেয় পঙ্গু ভাতা দেয়ার কথা বলে। এ ছাড়া চর সোনাকান্দা গ্রামের আদম আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম থেকে বিধবা
ভাতার জন্য ৬ হাজার পাচঁ শত টাকা, রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী সাহিনুর থেকে ৬ হাজার ছয়শত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এভাবে বিভিন্ন ফাঁদ পেতে জন্ম নিবন্ধন,বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা,মাতৃ ভাতার জন্য দফায় দফায় প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এনামুল হক চৌকিদার। স্থানীয় লোকজন টাকা ফেরৎ ও যথাযথ ব্যবস্থা এবং এনামুল হক চৌকিদারের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সোনাকান্দা,চর সোনা কান্দা ও মাছুয়াখালী গ্রামের ভুক্তভোগী লোকজন।
এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক বলেন অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতারকদের ছাড় দেয়া হবেনা।
অভিযোগ অস্বিকার করে এনামুল হক চৌকিদার বলেন আমি এখন গরুর হাটে। কিছু ঘটনা সত্য। আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো বলে কল কেটে দেয়।