বাউফল উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন দুই পক্ষের দুই কমিটি ঘোষনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
ব্যাপক উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পৃথক ভাবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
একপক্ষের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন কোট ভবন চত্বরে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ এমপি। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ মোঃ বাবর, ত্রান ও সামজ কল্যান সম্পাদক মোঃ রায়হান শাকিব ও বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার প্রমুখ।
এ সম্মেলনে আসম ফিরোজ এমপি সভাপতি ও আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। আসম ফিরোজ এমপি ১৯৮০ সাল থেকে এ দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং আবদুল মোতালেব হাওলাদার এর আগেও দুই বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অপর পক্ষের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পৌর শহরের লিচুতলা মাঠে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজি। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাউফল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান।
এ সম্মেলনে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষের জসিম উদ্দিন ফরাজীকে সভাপতি ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। জসিম উদ্দিন ফরাজী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গির হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
সকাল ১০ টায় শুরু দুই পক্ষের সম্মেলন শুরু হয় এবং তা চলে হয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত । এ সম্মেলন উপলক্ষে শহরে সৃদৃশ্য তোরণও ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আংশকায় শহরে ব্যপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। কিন্তু কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই দুই পক্ষের সম্মেলন শেষ হয়।