বাউফলে চার বছর ধরে দাফতরিক কাজ করছেন, বরখাস্তকৃত ব্যক্তি..!
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ২:২৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক নিরোধ আইনে হাজতবাস করায় জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তিনি একই চেয়ারে বসে প্রায় ৪ বছর ধরে দাফতরিক কাজ করছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের প্রধান সহকারী (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটর মুদ্রাক্ষরিক) মোঃ হাবিবুর রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক নিরোধ আইনে দায়েরকৃত দুইটি ফৌজদারী মামলায় (মামলা নম্বর যথাক্রমে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পটুয়াখালী ৩২৫/২০১৫ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট ৩য় আদালত সিআর ৪৩/২০১৫) দুই দফায় হাজতবাস করায় চাকরী বিধি মালার বিএসআর পার্ট-১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ি ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের ওই আদেশের প্রেক্ষিতে বাউফলের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হোসেন খান ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধান সহকারী মোঃ হাবিবুর রহমানকে একই অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটর মুদ্রাক্ষরিক মোঃ সানোয়ার হোসেনের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে প্রায় ৪ বছর ধরে একই চেয়ারে বসে দাফতরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমের চাবিও তার কাছে থাকে। অথচ এখন পর্যন্ত তার সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করে তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে রাখছেন। তিনি ভূমি অফিসের কানুনগোর কার্যালয়ের সামনের একটি রুমে শুরু থেকেই অদ্যবধি বসবাস করছেন। যা নিয়মের পরিপন্থী।
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান সহকারী মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি অফিস করলেও কোন দাফতরিক কাজকর্ম করছিনা’।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ভূমি পিজুস চন্দ্র দে বলেন,‘ ওনি (বরখাস্তকৃত মোঃ হাবিবুর রহমান) দাফতরিক কোন কাজকর্ম করতে পারবেননা। কিন্তু অফিসের সাথে সংযুক্ত থাকবেন এবং খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন’।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বেলন, ‘এ বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমার নলেজে নেই। আপনি সংশ্লিষ্ট অফিসের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে কথা বলুন। তবে কোন ফৌজাদারী মামলায় চার্জশীট ভূক্ত আসামীর দাফতরিক কাজকর্ম করার কোন ইখতিয়ার নেই’।