বাউফলে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় ৫ লাখ টাকায় রফাদফা..!
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ২:১০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
এম.নাজিম উদ্দিন বাউফল থেকেঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে ৫ লাখ টাকায় রফাদফা করা হয়েছে গৃহবধূ টুম্পা হত্যার ঘটনা। রবিবার সকালে পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকায় টুম্পা (২৩) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাশুরী ও ঝা মিলে হত্যা করে। নিহত টুম্পার বাবার বাড়ি গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামে। বাবার নাম সন্তোষ সাহা। ২০১২ সালে বাউফল পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকার শক্তি সাহার ছেলের নিতাই সাহার সাথে টুম্পার বিয়ে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক প্রতিবেশী জানান, টুম্পার সাথে তার শ্বাশুরী পুষ্প রানীর বনিবনা ছিলনা। ঘটনার দিন সকাল ৮টার সময় টুম্পার তার ছেলে গৌর হরিকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাসায় ঢুকতে গেলে শ্বাশুরী পুষ্প রানী বাধা দেয়। এনিয়ে বউ শ্বাশুরীর মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়। একপর্যায়ে পুষ্প রানী কাঠের চলা দিয়ে টুম্পাকে মারতে থাকেন। এসময় শ্বাশুরীর সাথে যোগ দেন বড় ছেলে সঞ্জয়ের স্ত্রী পিংকি রানী। এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে টুম্পাকে হত্যা করা হয়।
পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। খবর পেয়ে টুম্পার বাবা সন্তোষ সাহা, ভাই মনোস সাহা ও ইউপি সদস্য বশিরসহ কয়েক স্বজন গলাচিপার ডাকুয়া থেকে বাউফলে আসেন। ওই সময় তারা সাংবাদিকদের জানান, টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর গভীর রাতে শুরু হয় রফাদফা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক শ্রমীক লীগ নেতা, প্রধানমন্ত্রীর কথিত এক পুত্র, নিহত টুম্পার দেবরের এক বন্ধু ও ফুফা মিলে টুম্পার বাবা ও স্বজনদের রফাদফা করতে বাধ্য করেন এবং তাদেরকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় ।
এ ব্যাপারে নিহত টুম্পার ভাই শুভ সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৫ লাখ টাকায় রফাদফার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘ রফাদফার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলঅ যাবে’।