স্টাফ রিপোর্টার : বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সুজনের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে বন্দর থানার লোকজন। সুজনকে গ্রেপ্তারে বন্দর থানা পুলিসের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানালেন ওসি।
সুজনের হাতুড়ি পেটায় রাহাত এখন ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । তার অবস্থা অপরিবর্তিত। রাহাতের পরিবার সকলের নিকট দোয়া চেয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১৫ মে সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়ার মোল্লাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশিকুর রহমান সুজন তার সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রাহাতকে হাতুড়ি পিটা দিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত হওয়ায় রাহাতকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অবস্থার আরো অবনতি হলে রাহাতকে ১৫ মে রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।বর্তমানে রাহাত ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর পরই বন্দর থানা পুলিশ সুজনের দু সহযোগী রবিন ও মেহেদীকে আটক করেছে। ১৬ মে বন্দর থানা পুলিশ আদালতে হাজির করে। আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, রাহাতের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং রাহাতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সুজনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মামলায় সুজনের ২ অনুসারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে । সুজনকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।ওসি বলেন,অপরাধীদেরকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। সে যেই হোক।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে বরিশাল লঞ্চঘাটের চার পথ শিশু দিয়ে শহরে শহরে পোস্টার লাগানোর বিল আজও দেয়নি বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সুজন।এ ব্যাপারে পথ শিশু মেহেদী জানান,আমাদের চার জনকে দিয়ে পোস্টার লাগায় আশিকুর রহমান সুজন। আমাদের চারজনকে দু হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। আজ ১৭ মে পর্যন্ত আমাদের সেই টাকা দেয় নাই। টাকা চাইতে গেলে আমাদের মারধর করে এবং টাকা না চাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। রাত তিনটা পর্যন্ত আমরা কত কস্ট করে বড় বড় পোস্টার লাগিয়েছি। আমাদের পোস্টার লাগানোর বিল না দিয়ে উল্টো মারধর করে। মেহেদী বলেন আল্লাহ বিচার করবেন।