বরিশাল বিএম কলেজে শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার শিক্ষার্থী
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ৭:২১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বরিশাল বিএম কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন একই বিভাগের এক মেধাবী শিক্ষার্থী। ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের মার্স্টাস ফাইনাল পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. গোলাম রাব্বি অনিক। এঘটনায় ফলাফল সংশোধন ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কলেজ প্রধানের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেধাবী শিক্ষার্থী মো. গোলাম রাব্বি অনিক ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষে বিএম কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে ¯œাতক পাশ করেন তিনি। তাঁর সিজিপিএ ৩.৫৮। ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে মাস্টার্স শেষ পর্বের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। সকল বিষয় সন্তোষজনক ফলাফল করলেও বিভাগীয় প্রধানের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে (অনিক) মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন।
অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন,‘ ¯œাতক ৪র্থ বর্ষের ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও তিনি আমাকে কম নম্বর প্রদান করেন। মাস্টার্স ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হতেও তিনি আমাকে বাঁধা প্রধানসহ ভয়ভীতি ও ভবিষৎ নষ্ট করার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর একাধিক সহপাঠি বলেন,‘ অনিক বিভিন্ন সময় সাধারন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও অধিকার বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রতিবাদ করেছেন। যার কারনে অনিকের ওপর তাঁর (বিভাগীয় প্রধান) ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই হলো অনিককে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান,‘ বিভাগীয় প্রধান স্যারের নির্যাতনে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সাধারন শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ। ডির্পামেন্ট প্রধানের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সাথে করেন বাজে ব্যবহার।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. গোলম রাব্বি অনিক বলেন,‘ আমি মৌখিক পরীক্ষায় সন্তোষজনকভাবে অংশ গ্রহণ করি এবং সন্তোষজনক ফলাফল প্রত্যাশী ছিলাম। বিভাগীয় প্রধান স্যার তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে আমাকে ফেল করিয়ে দেন। আমি এ ফলাফল সংশোধন ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দাবি করছি।
এবিষয়ে জানতে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মাহমুদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম কিবরিয়া জানান,‘ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ ানেওয়া হবে।’