নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ ছাড়াও মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের মধ্যে পাসের দিক থেকে এগিয়ে আছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশালের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ছাড়া দেশের আরও আটটির ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৭ দশমিক ৮৯, কুমিল্লায় ৭৮ দশমিক ৪২, যশোরে ৮৬ দশমিক ১৭, চট্টগ্রামে ৭৮ দশমিক ২৯, সিলেটে ৭৬ দশমিক ০৬, দিনাজপুরে ৭৬ দশমিক ৮৭, ময়মনসিংহে ৮৫ দশমিক ৪৯, কারিগরিতে ৮৬ দশমিক ৩৫ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, বরিশাল বোর্ডে এ বছর পাসের হার গত বারের পাসের হারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। গতবছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে এবার গত বছরের চেয়ে জিপিএ ৫ কমেছে ৩ হাজার ৪৫৭টি। এ বছর এ বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩১১ জন। গত বছর যা ছিল ৯ হাজার ৭৬৮ জন। অরুন কুমার গাইন আরও জানান, বোর্ডের অধীনে ৬ জেলার ১ হাজার ৪৭৭টি বিদ্যালয়ের এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৯৭৯ জন। এরমধ্যে অংশগ্রহন করেছে ৯০ হাজার ১৯৬ জন। বহিষ্কার হয়েছিল ৪৫ জন। পাস করেছে ৮১ হাজার ৩৩৯ জন। এর মধ্যে ২৩১টি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
সবার সেরা ভোলা জেলা
বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে পাসের হারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা। এ জেলায় পাস করেছে ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এরপর ঝালকাঠিতে ৯১ দশমিক ০১ শতাংশ, বরিশালে ৯০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বরগুনায় ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ও পটুয়াখালীতে ৮৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। ফলাফল তুলে দেওয়ার সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, ‘শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রবল ইচ্ছার কারণেই ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।
বরিশালে এবারও এগিয়ে মেয়েরা
সবচেয়ে বেশি পাস করেছে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এ বিভাগের ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বাণিজ্য বিভাগে পাসের হার ৯২ দশমিক ১৭ শতাংশ। পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে। ছাত্র পাস করেছে ৯১ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও ছাত্রী ৮৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র পাস করেছে ৯৭ দশমিক ২৯ ও ছাত্রী ৯৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ছাত্র ৮৯ দশমিক ৪০ ও ছাত্রী ৮৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাণিজ্য বিভাগে ছাত্র ৯৫ দশমিক ৩০ ও ছাত্রী ৯০ দশমিক ২৩ শতাংশ পাস করেছে।