বরিশালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কর্মচারী ও দালালের হামলায় নিহত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি সদস্য গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। অপরদিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারসহ কঠোর বিচারের দাবীতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্রার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব মীর জাহিদসহ অন্যান্যরা। রোগীর সাথে দালালের প্রতারনার প্রতিবাদ করায় বাবুল মোল্লাকে পিটিয়ে এবং অটোরিক্সা চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন তারা। পুলিশ সহ কতিপয় ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবুল নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা করছে বলে দাবী করেন বক্তারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয় সমাবেশে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জানাজা শেষে তাৎক্ষনিক বাবুল মোল্লার লাশের খাটিয়া নিয়ে সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন বলে জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির।
এর আগে বাবুল মোল্লা হত্যার বিচারের দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করেন মহানগর বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। আগামী শনিবার মানববন্ধন, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের দাবীতে রবিবার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং সোমবার দলীয় কার্যালয়ে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাবুল মোল্লার জানাজা নামাজের পূর্বে মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ তার বক্তব্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ গেইন ডায়েগনষ্টিকের মালিক রফিকের আসল পরিচয় কি? সে কি ডাক্তার, না সাংবাদিক নাকি আইনজীবী তা উদ্ঘাটন করে ও বাবুল মোল্লার হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, জর্ডন রোডে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে দালালরা অটো রিকশায় রোগী নিয়ে আসেন। রোগীরা সদর রোডের ডা. অমিতাভ সরকারের কাছে যেতে চাইলেও তাদের ভুল বুঝিয়ে দালালরা এখানে নিয়ে আসেন।
এসব কথা যখন হচ্ছিল তখন পাশ দিয়ে বড় ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা। তিনি রোগীদের জানান, গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ডা. অমিতাভ সরকার বসেন না। এ ছাড়া দালালদের এমন কাজ না করার জন্য বলেন তিনি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক ও দালালরা মিলে তাকে লাঞ্ছিত করেন। তখন তিনি কোতয়ালী মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দালালরা গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লাকে চলন্ত অটো দিয়ে চাপা দেন।
মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বাবুল মোল্লাকে দালাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।