বরিশালে নারী ল্যাবকর্মীকে কু প্রস্তাব ও মারধরের ঘটনায় মাহমুদ কারাগারে
প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২০, ৪:৩২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল বান্দ রোডস্থ মেডিএইড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড সিটি স্ক্যান ল্যাবের মার্কেটিং অফিসার আঁখি আক্তারকে কু প্রস্তাব ও নির্যাতনের ঘটনায় rab -8 ১৯ জুন রাতে নগরীর খান সড়ক থেকে মাহমুদকে আটক করে। আটকের পরে কোতয়ালী মডেল থানায় rab আসামী মাহমুদকে হস্তান্তর করে। ২০ জুন সকালে মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন মামলার নিয়মিত আসামী হিসেবে আদালতে প্রেরন করলে আদালত মাহমুদ কে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাকিব জানান।
গত ১৮ জুন বেলা দুটায় শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বাহিরে আঁখিকে দেয়া কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেহেদী মারধর করে। এ ঘটনায় আঁখি ১৮ জুন
থানায় মামলা দায়োর করে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি সেন্টারের মার্কেটিং অফিসার ও জাগুয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের আমজেদ আলীর পুত্র মাহমুদ হোসেন প্রায়ই বিভিন্ন নারীকে কু প্রস্তাব দিত। এছাড়া শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের নারী স্বজনদের উত্যক্ত করতো। ১৮ জুন বেলা দুটার দিকে আঁখিকে মাহমুদ কু প্রস্তাব দেয়। কু প্রস্তাবে রাজি না হলে অশ্লীল কথা বলে। আঁখি প্রতিবাদ করলে মাহমুদ মারধর করে। এতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে আঁখি। স্থানীয় লোকজন আখিকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে মাহমুদ সিটি সেন্টারে কর্মের আড়ালে রোগীর দালালী,মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। মাহমুদ একজন বাজে টাইপের লোক উল্লেখ করে হাসপাতালের স্টাফরা জানায় প্রায়ই বিভিন্ন নারীদের সাথে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। নারীদেরকে কু প্রস্তাব দেয়ায় ইতিপুর্বে একাধিক নারী জুতাপেটাসহ লাঞ্চিত করেছে মাহমুদকে। সম্প্রতি শেবাচিম হাসপাতালের ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডে এক রোগীর কাছে মাহমুদ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে শরিরের স্পর্শ স্থানে হাত দেয়। রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা চ্যালঞ্জ করলে দৌড় দেয়ার সময় হাতেনাতে মাহমুদকে আটক করে গনধোলাই দেয়া হয়। এ ঘটনার পরে হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় মাহমুদকে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাসপাতালে একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছে মাহমুদ।
দিনের পর দিন মাহমুদ বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এ ছাড়া রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অর্থ-কড়ি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে মাহমুদোর বিরুদ্ধে।
আঁখিকে মারধরের ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দেয়া হয়। মামলার পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন বিষয়টি আমলে নিয়ে মাহমুদকে গ্রেপ্তারে সোচ্চার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুন মাহমুদ আটক হয়ে এখন কারাগারে রয়েছে। মাহমুদ আটক হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেলেছে স্থানীয় লোকজন।