বরিশালের আঞ্চলিক সমবায় ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:১২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক : বরিশালের শের-ই- বাংলা আঞ্চলিক সমবায় ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোহাম্মদ মোস্তফা বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ- নিবন্ধক।
সরজমিনে তথ্য সংগ্রহে গেলে আঞ্চলিক সমবায় ইনষ্টিটিউটের অফিস সহকারী দিপালী বিশ্বাস জানান ২০০৩ সালে নগরীর কাশিপুরে অবস্হিত এই ইনষ্টিটিউটের ভবন নির্মানের উদ্বোধন করা হয়। বাস্তবতায় একটি ভবনের অবকাঠামো তৈরী শেষ করতেও প্রায় একবছর সময় অতিবাহিত হওয়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে ২০০৪ সালে নির্মিত ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ’র বাসভবন ২০০৯-২০১০ সালে কিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষনা হয় জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জনাব মোহাম্মদ মোস্তফা উত্তেজিত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে আমি বাধ্য নই। তিনি আরো বলেন ইতিপূর্বে আমার নামে স্হানীয় ১০/১২ টি পত্রিকায় নিউজ হয়েছে ” আমি নাকি দূর্নীতি অনিয়ম করি”। আপনাদের কোন প্রশ্নের উত্তরই আমি দেবোনা। আপানাদের যেমন ইচ্ছা আমার নামে নিউজ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রশিক্ষনার্থী বলেন অধ্যক্ষর বাসভবনের ভেতরে দুটি রুমে অফিসের কর্মচারীরা রাত্রীযাপন করেন এবং অধ্যক্ষ নিজে হোস্টেলে থাকেন ও সরকার কতৃক প্রদেয় হোস্টেলের প্রশিক্ষনার্থীদের খাবার অধ্যক্ষ নিয়মিত খেয়ে থাকেন।
সমবায় ইনষ্টিটিউটের প্রশিক্ষনার্থীদের সরকারিভাবে প্রদেয় ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার দাস জানান, সরকারিভাবে জনপ্রতি ১২০০ টাকা বরাদ্দ এবং আমরা ১২০০ টাকা করেই প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে তুলে দেই। তবে এক্ষেত্রে প্রশিক্ষনার্থীদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিধিমালা দেখতে চাইলে তিনি অধ্যক্ষ’র অনুমতি ছাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের উচ্চমান সহকারী মোঃ আঃ মালেক বলেন বসবাসের অনুপযোগী বিধায় ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়। অথচ সরজমিনে ভবনের ভেতরের ফ্লোর টাইলসকৃত ও পরিবেশ বেশ স্বচ্ছ দেখা যায়। শুধুমাত্র ভবনের দেয়ালে দীর্ঘদিন রং না করার কারনে ভবনের সৌন্দর্য্য শোভা পায়নি।