বড়াইগ্রামে ভুল চিকিৎসায় নববধূর মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা ও মালিক আটক
প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নববধূর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে এবং একইসাথে হাসপাতালের মালিককে আটক করেছে।
রবিবার দুপুর বারোটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। এর আগে ভোর চারটায় ভুল চিকিৎসায় মারা যায় উপজেলার বড়াইগ্রামের রামেশ্বরপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী গৃহবধূ সুমাইয়া খাতুন (১৬)। মৃত গৃহবধূ সুমাইয়া বড়াইগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে তার বিয়ে হয়। সুমাইয়া একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের গ্রামের রাহাবুল ইসলামের মেয়ে। আটককৃত হাসপাতাল মালিকের নাম আরশেদ আলী (৬৫)। সে একই উপজেলার মাঝগাও ইউনিয়নের নটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত অসিমউদ্দিনের ছেলে।
মৃত সুমাইয়ার মা মোমেনা খাতুন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সুমাইয়ার পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হলে তাকে বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। রাত আটটার দিকে ওই হাসপাতালে ডাক্তার সামিরা তাবাচ্ছুম সাথী (এমবিবিএস) এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন করেন। অবস্থার খারাপ হলে রাত তিনটার দিকে ওই ডাক্তার পুনরায় সুমাইয়াকে ইনজেকশন পুশ করেন এবং তার এক ঘন্টা পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সকালে রোগীর আত্মীয় স্বজন পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অভিযোগ করলে ঘটনা তদন্তে আসেন বড়াইগ্রাম সার্কেল এএসপি হারুন-অর-রশিদ ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার আনোয়ার পারভেজ। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয় ও মালিককে আটক করা হয়। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্স পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার আনোয়ার পারভেজ জানান, হাসপাতালটির কোন কাগজপত্র ঠিক নাই। আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাই এবং পরীক্ষার যন্ত্রপাতি যথার্থ না থাকায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।