প্রবাসী নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, আটক ২
প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৩, ১:২৭ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সৌদি প্রবাসী এক নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা দাবি করা চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। শনিবার বিকালে বাবুগঞ্জের মাধবপাশা বাজার সংলগ্ন খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন বাবুগঞ্জের মাধবপাশা ইউনিয়নের বাদলা এলাকার মৃত লিটন খানের ছেলে মো. সাকিব খান (২৪) এবং একই গ্রামের মৃত শাহ জাহান বেপারীর ছেলে মো. খলিল বেপারী (৩৫)। দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ওই নারীর ভিডিও ধারণ করা হয়। শনিবার রাত ৯টায় বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বিপিএম-সেবা। তিনি বলেন, কয়েকমাস ধরে সৌদি প্রবাসী নারীর (ভিকটিম) সঙ্গে বাংলাদেশে থাকা স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। পারিবারিক কলহ মিটমাট করার জন্য সাকিবের শরণাপন্ন হন তিনি। সাকিব ভিকটিমের স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ভিকটিমের অশ্লীল দৃশ্য ভিডিও কলে ধারণ করে এবং স্ক্রিন রেকর্ডিং করেন। পরে ওই রেকর্ড খলিলের মাধ্যমে প্রবাসী নারীকে পাঠিয়ে কয়েকধাপে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এদিকে ভিকটিম অশ্লীল ভিডিও এবং টাকা চাওয়ার রেকর্ড সংরক্ষণ করে তার বোনের স্বামী’র কাছে আইনগত সহায়তার জন্য পাঠায়। ভিকটিমের বোনের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা’র নির্দেশনায় পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ অ্যান্ড ইন্টে.) উজ্জ্বল কুমার দে’র সার্বিক সহযোগিতায় এবং পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শাহ মো. ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম টিম এবং অপারেশনাল টিম অভিযান করেন। যার ধারবাহিকতায় এ দুই আসামিকে আটক করা হয়। কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা আরও জানান, অনুসন্ধানে জানা গেছে আসামি সাকিব ভিডিওটি স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ধারণ করেন। সাকিব ভিডিওটি আসামি খলিলের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ফোনে দেন। খলিল ভিডিওটি সেই প্রবাসী নারীর ইমো নাম্বারে পাঠায়। আর এরপর থেকে রুবেল নামে এক পলাতক আসামিসহ সাকিব ও খলিল ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই নারীর কাছে। এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা আরও জানান, এ বিষয়ে আটক আসামিদের নামে এয়ারপোর্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।